বিশ্ব হিজাব দিবসের ইতিহাস জানেন কি?

বিশ্ব হিজাব দিবস প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এটি এমন একটি দিন, যেদিন মুসলিম ও অমুসলিম নারীদের হিজাব পরিধান করে একদিন কাটানোর আহ্বান জানানো হয়, যাতে তারা বুঝতে পারেন হিজাব পরিধানকারী নারীদের অভিজ্ঞতা কেমন।
মুসলিম নারীরা হিজাব পরিধান করে তাদের শালীনতা বজায় রাখে। অনেকে পুরুষ হয়রানি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্যও এগুলো ব্যবহার করে। বিশ্ব হিজাব দিবস প্রথম চালু হয় ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। এটি শুরু করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নারী নাজমা খান।
নাজমা খান ছোটবেলা থেকেই নিউইয়র্কে বেড়ে উঠেছেন। ৯/১১ হামলার পর তিনি ব্যাপক বৈষম্য ও কটূক্তির শিকার হন শুধু হিজাব পরার কারণে। স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে তাকে বারবার হিজাবের জন্য কটাক্ষ করা হতো। তিনি অনুভব করেন যে, যদি অমুসলিম নারীরা একদিনের জন্য হিজাব পরেন, তাহলে তারা বুঝতে পারবেন হিজাব পরিধানকারীরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। এই চিন্তা থেকেই তিনি ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে’ চালু করেন।
২০১৭ সালে, নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্ব হিজাব দিবস ঘোষণা করেন নাজমা। সেসময় তিনি থেরেসা মে হাউস অব কমন্সে এই অনুষ্ঠানের স্মরণে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে, ফিলিপাইনের প্রতিনিধি পরিষদ ১ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় হিজাব দিবস হিসেবে মনোনীত করে যাতে ইসলামিক ঐতিহ্যকে আরও ভালোভাবে বিশ্ব বুঝতে পারে এবং গ্রহণ করতে পারে।
বিশ্বের ১৯০টি দেশে বর্তমানে বিশ্ব হিজাব দিবস পালিত হচ্ছে। এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, হিজাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অনেকে মনে করেন হিজাব মানে নারীদের দমন করা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, এটি মুসলিম নারীদের স্বাধীনভাবে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশের একটি মাধ্যম।
এছাড়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা এই দিবসের উদ্দেশ্য। মুসলিম নারীরা প্রায়ই হিজাব পরার কারণে বৈষম্যের শিকার হন। এই দিনটি তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলে। এটি ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে, যাতে অমুসলিম নারীরা মুসলিম নারীদের অনুভূতি ও জীবনধারাকে বুঝতে পারেন।
আরও পড়ুন
- সবচেয়ে দুর্গন্ধময় যেসব জিনিস স্থান পেয়েছে গিনেস রেকর্ডে
- ৮৭ সন্তানের বাবা এক কৃষক, গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
কেএসকে/এমএস