বন্যায় নিরাপদ ও সতর্ক থাকবেন যেভাবে
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৪
বাংলার মানুষ এর আগেও কয়েকবার ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয়েছে। অতীতে বন্যা বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বিশেষ করে ১৯৬৬, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৭, ২০২২ সালে। জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই বন্যাগুলোতে।
সাধারণত বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস বাংলাদেশে বর্ষা ঋতু। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান নদী ও উপনদীগুলো হিমালয়ের বরফগলা ও বৃষ্টির পানিতে তুলনামূলকভাবে পানির উচ্চ প্রবাহে প্রবাহিত হয় এবং বাংলাদেশ বন্যায় প্লাবিত হয়।
বর্তমানে ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনীর উত্তরের তিন উপজেলার শতাধিক গ্রামের লাখের বেশি মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি। বন্যায় নিরাপদ থাকতে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে বন্যার ক্ষতি থেকে জানমাল রক্ষা করতে পারবেন-
>> প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে বন্যার পানি আপনার বাড়ির কাছাকাছি আসার আগেই আশ্রয় কেন্দ্র বা নিরাপদ উঁচু কোনো স্থানে চলে যাওয়া।
>> আগে থেকেই বাড়ির ভিটা, নলকূপ, টয়লেট যত দূর সম্ভব উঁচু করতে হবে। এক্ষেত্রে অতীতের বন্যার পানির উচ্চতার মাত্রা মনে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন
>> বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আগে গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দিন। বাড়িতে ফেরার পর সেগুলো ঠিক আছে কি না আগে পরীক্ষা করুন। তারপর ব্যবহার করুন।
>> শস্য ও বীজ সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ স্থানে মাচা তৈরি করতে হবে। গৃহপালিত পশু নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
>> শুকনো খাবার বিশেষ করে মুড়ি, চিড়া, গুড়, চিনি সংরক্ষণ করতে হবে। বিশুদ্ধ খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চার ব্যবস্থা করতে হবে।
>> সহজে বহনযোগ্য চুলা ও রান্না করার জন্য শুকনো জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংরক্ষণ করতে হবে।
>> বৃদ্ধ, শিশু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও গর্ভবতী নারীর ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের দিকে। অনেকসময় শিশুরা পানিতে নেমে যায় খেলতে, এতে বড় কোনো বিপদ হতে পারে।
>> এছাড়া প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিশেষ করে টাকা-পয়সা, জমির দলিল, শিক্ষা সনদ নিরাপদ স্থানে রাখুন।
>> বন্যার দূষিত পানি পান করা যাবে না। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ফিটকিরি ব্যবহার করে পানি পান করতে হবে। বন্যার পানিতে গোসল করা, জামা-কাপড় ধোয়া যাবে না।
>> বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বাড়িতে ফিরে আগে পরিষ্কার করুন সব কিছু। বন্যার পানিতে কার্পেট, ঘর, বিছানাপত্রসহ অন্যান্য ডুবে যাওয়া আসবাবে জন্মানো ছত্রাক নানা অসুখের কারণ হতে পারে। পানি নেমে যাওয়ার পর ছিদ্রযুক্ত বা স্পঞ্জি জিনিসপত্রগুলো, যেমন কার্পেট, ফেলে দিন।
>> অন্যের বিপদে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি মেরামত করতে হবে। বাড়ির আঙিনা থেকে ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার করতে হবে। পয়ঃনিষ্কাশন প্রণালি মেরামত করতে হবে।
আরও পড়ুন
কেএসকে/এমএস