সব ভুলে ক্ষমা করে দিন আজ
জীবনে আমরা এমন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যা সামলে নেওয়া বেশ কঠিন। প্রিয় মানুষদের আচরণে অনেক সময় কষ্ট পাই। তাদের উপর অভিমান করে হয়তো দিনের পর দিন কথা না বলে থাকেন। এতে কষ্ট বাড়ে বৈ কমে না। তাই আজ সব রাগ অভিমান ভুলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
আজ ৭ জুলাই গ্লোবাল ফরগিভনেস ডে। তাই রাগ পুষে না রেখে ক্ষমা করে দিন সবাইকে। শুধু তাই নয়, আজ আপনার দ্বারা হওয়া অন্যায়ের জন্য অন্যের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন। ক্ষমা একটি মহৎ গুণ বটে। ইতিহাসে এমন অসংখ্য ক্ষমার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
জাপানি ফাইটার পাইলট নোবুও ফুজিতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে ওরেগনের উপর বোমা ফেলেছিলেন। যা অনেক বড় আগুনের জন্ম দেয়। ওরেগনের ব্রুকিংস শহর এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু ১৯৬২ সালে ফুজিতা ব্রুকিংস শহরে যান এবং সবার কাছে ক্ষমা চান। খুবই আশ্চর্যের বিষয় শহরের লোকেরা তা মঞ্জুর করেছিলেন।
২০ শতকের শেষের দিকে, পোপ জন পল দ্বিতীয় প্রকাশ্যে সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছিলেন যে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল এবং এমনকি তার সাজা চলাকালীন কারাগারে তার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এই শতকেই বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং মনোবিজ্ঞানীরা ক্ষমার প্রতি মনোযোগ দিতে শুরু করেন। এই নিয়ে প্রচুর অধ্যয়ন এবং গবেষণা প্রকল্প শুরু হয়। গবেষকরা দেখেছেন ক্ষমা মানুষের আচরণ এবং মানসিক বিকাশে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়াতে জাতীয় ক্ষমা দিবস প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারা ভিক্টোরিয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে এই দিবসটি ঘোষণা করে একটি একক ব্যানার ঝুলিয়েছে। এই দিনটি সারা বিশ্বে প্রাধান্য লাভ করায় এর নামকরণ করা হয় গ্লোবাল ফরগিভেনেস ডে।
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
কেএসকে/জেআইএম