ঈদের আনন্দের মাঝেও অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার চিন্তা

মমিনুল হক রাকিব
মমিনুল হক রাকিব মমিনুল হক রাকিব
প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২৪

দীর্ঘ এক মাস সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় সিয়াম সাধনার পর আল্লাহ প্রদত্ত উপহার হিসেবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করা হয়। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে ঈদ মানে যেন একটু বাড়তি উপহার। এবার ঈদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা তুলে ধরছেন মমিনুল হক রাকিব-

ইসমা হায়দার লোপা
শিক্ষার্থী, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়
আমরা যারা ঢাকাতে থাকি তারা আসলে এই ঈদের জন্য অপক্ষো করে থাকি। পরিবারের সঙ্গে গ্রামে যাওয়া এবং সবার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ আমাদের সবসময় হয়ে ওঠে না তাই আমরা সারাবছর ঈদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। আর অবশ্যই ঈদ আমাদের জন্য র্সবোচ্চ আনন্দের উৎসব তাই আমরা পারিবারিকভাবে সবসময়ই চেষ্টা করি দিনটাকে উদযাপন করতে।

মেহেদী হাসান প্রিয়ম
শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলোজি অ্যান্ড সায়ন্সেস
ঈদ বরাবরই আমার জন্য বেশ আনন্দের ব্যাপার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে রোজা রেখে ক্লাস করা কিছুটা কষ্টের। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে ইফতার করছে। এটা বেশ মজার একটি অভিজ্ঞতা। অনেক বন্ধু ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছে। সবাই যাতে সুস্থভাবে ঈদ উদযাপন করে আবার ফিরে আসতে পারে সেই কামনা করছি।

আরও পড়ুন

যুবায়ের ইসলাম তুলন
শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক
বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের ছুটির সঙ্গে দিয়েছে অনেকগুলো এসাইনমেন্ট এবং ঈদের পরপরই হবে ক্লাস টেস্ট, কুইজ, ল্যাব ফাইনাল ইত্যাদির প্রেশার। এসব ভাবনা এক পাশে রেখে পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারবো তা ভেবে প্রশান্তি পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে টিউশন প্রেশার, ভার্সিটি প্রেশার থাকা সত্ত্বে মুখিয়ে থাকি কখন পরিবারে সবাই একত্রিত হবো, ঈদ উদযাপন করবো। বর্তমান অস্থিতিশীল বাজারে পরিবারের সবার মনে নতুন কাপড়ে ঈদের আনন্দ ফুটিয়ে তোলা অনেকটা কষ্টসাধ্য। তবুও এতো অস্থিরতার মধ্যেই আশা করি ঈদ আমাদের মনে আনন্দ বয়ে আনে।

রিজওয়ান আহমেদ রিয়ান
শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

দেখতে দেখতে আরও একটি ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছি আমরা। ছাত্রজীবনে স্কুল-কলেজে থাকাকালীন ঈদগুলোর চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পরের ঈদগুলো যেন একটু ভিন্ন রকম। সারা বছরের মিড-টার্ম, ফাইনাল ও টিউশন থেকে কিছুটা মুক্ত হয়ে দীর্ঘ ছুটিতে আপন ঠিকানায় ফিরে যাওয়া হয়। সেখানে আমাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আমাদের পরিবারের প্রিয় মুখগুলো। ছুটির তারিখটা যেন তখন কিছুতেই শুরু হতে চায় না। মা-বাবা, ভাই-বোন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য টিউশনির টাকা দিয়ে ঈদ উপহার নিয়ে যাওয়াতেও যেন এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ কর। যান্ত্রিক এই শহরের কোলাহল থেকে ক্ষণিকের জন্য মুক্তি নিয়ে নিজের গ্রামে ঈদ উদযাপন করা, পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আবার দেখা, স্কুলের ব্যাচের ইফতার মাহফিল, সব মিলিয়ে যেন এক অন্য জগতে হারিয়ে যাই।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।