সোনার চেয়েও যে কারণে দামি হাতির দাঁত
বিশ্বের অন্যতম দামি বস্তু সোনা। গয়না বানাতেই নয় এই সোনা ব্যবহার হয় নানান কাজে। এবং এটি সহজলভ্য একটি বস্তু। বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া গেছে সোনার খনি। তবে জানেন কি? সোনার চেয়েও হাতির দাঁত বেশি দামি বস্তু।
অনেকেই ঘর সাজাতে হাতির দাঁতের তৈরি পণ্য ব্যবহার করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাতে তৈরি এসব শোপিস সংগ্রহ করেন। তবে ১৯৮৯ সাল থেকে বিশ্বজুড়েই নিষিদ্ধ হাতির দাঁত অর্থাৎ, ‘আইভরি’ বিক্রি। কারণ, হাতির দাঁত সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হত নিষ্পাপ প্রাণীগুলোকে।
আরও পড়ুন: মৃতদের স্মরণে পালিত হয় হ্যালোইন
তবে এখনো চোরাই পথে বিক্রি হয় হাতির দাঁতের তৈরি জিনিস। যার কোনোটা আসল, আবার কোনোটা নকল। প্রাচীন ভারতের শিল্প সামগ্রী একটু ঘাঁটলেই বোঝা যাবে, হাতি দাঁত থেকে এক সময় কত সূক্ষ্ম শিল্প সামগ্রী তৈরি করা হত। এক সময় হাতির দাঁতের জিনিস ঘরে থাকা সমৃদ্ধির অন্যতম লক্ষণ ছিল। শুধু ভারতই নয়, বিশ্বজুড়েই সমৃদ্ধির অন্যতম নিদর্শন ছিল আইভরি। ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের তো একটা আস্ত ঘোড়ায় টানা গাড়িই রয়েছে হাতির দাঁতে তৈরি।
বর্তমানে চোরাগোপ্তা পথে চলে হাতির দাঁতের পাচার। চোরাবাজারে লাখ লাখ কোটি কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয় হাতির দাঁত। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে হাতির দাঁতে তৈরি জিনিস পত্রের চাহিদা। যার জন্য বাড়ছে চোরাচালানও।
আরও পড়ুন: যে ৫ দেশে পৌঁছাতে পারে না প্লেন
গত কয়েক বছরে চীনে মধ্যবিত্ত শ্রেণির আর্থিক উন্নতি হয়েছে। চীনে হাতির দাঁতে তৈরি জিনিস ঘরে রাখাকে শুভ বলে মনে করা হয়। তার উপরে চীনা সংস্কৃতিতে হাতির দাঁতের জিনিস সমৃদ্ধিরও লক্ষণ। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে আইভরির চাহিদা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
লাখ লাখ টাকা দিয়ে হলেও হাতির দাঁতের জিনিস কেনা ‘গুড ইনভেস্টমেন্ট’ বলে ধরেন অনেকে। কারণ এটি বিরল এবং দীর্ঘদিন টেকেও। তাই আইভরিতে তৈরি জিনিসের শিল্পজাত, ঐতিহাসিক মূল্য অস্বীকার করা যায় না।
হাতির দাঁতের মূল্য ভীষণভাবেও ওঠানামা করে৷ হাতির দাঁতে তৈরি জিনিসের দাম ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিলোগ্রাম প্রতি হাতের দাঁতের মূল্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কেএসকে/এমএস