শরীরে ৬৬৭ বার মেয়ের নাম ট্যাটু করালেন বাবা

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রতিটা বাবার কাছেই তার মেয়ে রাজকন্যা। মেয়ের জন্য বাবার ভালোবাসার কোনো কমতি হয় না। যে কোনো পরিস্থিতিতে মেয়ের ভরসা তার বাবা। মেয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এক বাবা শরীরে ৬৬৭ বার মেয়ের নাম ট্যাটু করিয়েছেন।

এজন্য বিশ্ব আরও একবার মেয়ের প্রতি বাবার ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারলো। সেই সঙ্গে গিনেস বুক অব রেকর্ড সেই বাবাকে স্বীকৃতিও দিয়েছে বিশ্বরেকর্ডের।

ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ৪৯ বছরের মার্ক ওয়েন ইভান। ২০১৭ সালেও মার্ক ট্যাটুর জন্য রেকর্ড তৈরি করেছিলেন। সেসময় তিনি পিঠে তার মেয়ে লুসির নাম ২৬৭ বার লিখিয়েছিলেন। একই নামের ট্যাটুর জন্য মার্কের নাম উঠেছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

২০২০ সালে মার্কের সেই রেকর্ড ভেঙে দেন দিয়েদ্রা ভিগলি নামে এক নারী। তিনি আমেরিকার বাসিন্দা। দিয়েদ্রা নিজের নামের ৩০০টি ট্যাটু করিয়েছিলেন। ফলে রেকর্ড হাতছাড়া হয়ে যায় মার্কের।

হাল ছাড়ার পাত্র ছিলেন না মার্ক। নিজের হারানো উপাধি ফিরে পেতে মরিয়া ছিলেন তিনি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। কিন্তু পিঠে তো আর জায়গা নেই। তাই দু’পায়ে ৪০০টি ট্যাটু করিয়ে ফেলেন মার্ক। দু’পায়ে ২০০টি করে ট্যাটু করানোর পর উচ্ছ্বসিত হয়ে মার্ক বলেন, ‘রেকর্ড ফিরে পাওয়ার জন্য আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। এটা আমি আমার মেয়েকে উৎসর্গ করলাম।’

আরও পড়ুন: ৫০০০ বিষাক্ত বিচ্ছুর সঙ্গে ৩৩ দিন কাটালেন নারী

জানা গিয়েছে, দু’জন ট্যাটু শিল্পী মিলে এক ঘণ্টা ধরে ট্যাটুগুলো করেছেন। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় সন্তানের কোনো পরিকল্পনা নেই মার্ক ও তার স্ত্রীর। তবে ভবিষ্যতে যদি তাদের আবার সন্তান হয়, তাহলে আবারও এই ট্যাটু দিয়ে বড় কোনো কাণ্ড ঘটাবেন মার্ক। মেয়ের প্রতি এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ পুরো বিশ্ব।

দ্বিতীয়বার বিশ্বরেকর্ডের জন্য হলেও প্রথমে কিন্তু মেয়ের নাম ট্যাটু করানোর উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। মার্ক মেয়ে লুসির জন্ম উদযাপনের জন্য এই ট্যাটু করিয়েছিলেন। তিনি নিজেই ট্যাটুর নকশা করেছিলেন। সেখানে দেখা যায় একটি খোলা বইয়ে দুটি খোলা পৃষ্ঠায় বারবার লুসির নাম লেখা। যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইকে বোঝায়।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।