টানা ৯৭৬ দিন হাঁচি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৩

একটু বৃষ্টিতে ভিজলেন কিংবা তীব্র গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ফ্রিজের পানি খেয়ে নিলেন। শুরু হয়ে গেলো হাঁচি। যা ঠান্ডা লাগার পূর্ব লক্ষণ, এমনকি ঠান্ডা লাগার পর অনবরত হাঁচি হতেই থাকে। যদিও সাধারণত একজন মানুষের দিনে দুই একবার হাঁচি দেওয়া খুবই স্বাভাবিক।

তবে টানা যদি মাসের পর মাস হাঁচি হতে থাকে তা চিন্তার কারণ বটে। হাঁচি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা নাকের প্রদাহ বা জ্বালা দূর করতে সহায়তা করে। অনেক সময় বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকা পদার্থ যেমন-ময়লা, পরাগ, ধোঁয়া বা ধুলাবালি নাকে প্রবেশ করে তখন আমাদের নাকের সংবেদনশীল আস্তরণে অস্বস্তি বা সুড়সুড়ি শুরু হতে পারে। তা থেকেই হয় হাঁচি।

আরও পড়ুন: টানা ৫৮ ঘণ্টা চুম্বন করে বিশ্বরেকর্ড দম্পতির

টানা ৯৭৬ দিন হাঁচি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনা গ্রিফিথস। ডোনার জন্ম ১৯৬৯ সালে। ১২ বছর বয়সে এই হাচির সমস্যা শুরু হয় তার। ১৯৮১ সালের ২৬ জুলাই শুরু হয় হাঁচি। স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হাঁচি হচ্ছিল তার। প্রথমে ভেবেছিলেন ধুলা থেকে বা ঠান্ডা থেকে হাঁচি হচ্ছে।

এই হাঁচি থেমেছিল দুই বছর পর ১৯৮৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। এই দুই বছর তিনি লাখ লাখজ হাঁচি দিয়েছেন। এমন না যে সব সময় তিনি হাঁচি দিতেন। তবে দিনে বেশ কয়েকবার তার হাঁচি হত এবং এর মধ্যে একটি দিনও বাদ যায়নি। ১৯৮৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি প্রথম একটি হাঁচি মুক্ত দিন কাটিয়েছিলেন বলে তার লেখা বইয়ে উল্লেখ করেন ডোনা।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে, ডোনার রেকর্ডটি ব্রিটিশ টিভি প্যানেল শো কিউআইতে দেখানো হয়েছিল। তখন কমেডিয়ান জিমি কার রসিকতা করে বলেছিলেন যে, ডোনা নিশ্চয়ই একটি মরিচ কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু না ডোনা কোনো মরিচ কারখানায় সেসময় কাজ করতেন না। এরপরই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হাঁচি দেওয়ার জন্য ডনার নাম ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড/ আরব নিউজ

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।