আজকের এই দিনে

নীরা আর্যর প্রয়াণ দিবস

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ২৬ জুলাই ২০২৩

নীরা আর্য ছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের সৈনিক। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন বাঁচাতে তিনি নিজের স্বামীকে হত্যা করেন। যে কারণে নেতাজী তাকে নীরা নাগিনী বলে অভিহিত করলে তিনি নীরা নাগিনী নামে পরিচিতি লাভ করেন।

নীরা ১৯০২ সালের ৫ মার্চ ভারতের তৎকালীন যুক্তপ্রদেশের অধুনা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাগপত জেলার খেকড়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় তার পড়াশোনা শুরু হয়। নীরা আর্য হিন্দি, ইংরেজি, বাংলার পাশাপাশি আরও অনেক ভাষায় দক্ষ ছিলেন।

তিনি ব্রিটিশ ভারতের সিআইডি ইন্সপেক্টর শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাসকে বিবাহ করেন। শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাস ছিলেন ইংরেজপ্রভু ভক্ত অফিসার। মূলত শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাসকে গুপ্তচরবৃত্তি করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

তার ভাই বসন্ত কুমারও আজাদ হিন্দ ফৌজে ছিলেন। অনেক লোকশিল্পী নীরা নাগিন ও তার ভাই বসন্ত কুমারের জীবন নিয়ে কবিতা ও ভজন রচনা করেছেন। নীরা নাগিনী নামে তার জীবনের একটি মহাকাব্যও রয়েছে। তার জীবন নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তিনি ছিলেন এক দুর্দান্ত দেশপ্রেমিক, সাহসী ও আত্মসম্মান বোধে গর্বিত নারী।

তার শেষ জীবন কাটে হায়দ্রাবাদে। সেখানকার নারীরা তাকে গর্বের সঙ্গে ‘পদ্মমা’ বলে সম্বোধন করতেন। নীরা আর্য নামে একটি জাতীয় পুরস্কারও চালু করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের অভিনেতা অখিলেশ পান্ডে প্রথম নীরা আর্য পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয় এবং তাকে নীরা আর্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

নীরা আর্য জীবনের শেষ দিনগুলোতে ফুল বিক্রি করে কাটিয়েছেন এবং হায়দরাবাদের ফালকনুমার একটি কুঁড়ে ঘরে বাস করতেন। সরকারি জমিতে থাকার কারণে তার কুঁড়েঘরটিও শেষ মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। বার্ধক্যজনিত কারণে ১৯৯৮ সালের ২৬ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।