৯০ বছর বয়সী বডিবিল্ডারের বিশ্বরেকর্ড

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৩

কোনো কাজেই বয়স বাধা হতে পারে না। বয়স একটা সংখ্যা মাত্র, তার আবারও প্রমাণ দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা জিম আরিংটন। বয়স ৯০-এর ঘর ছুঁয়েছে। কিন্তু মনের দিক থেকে যেন তিনি এখনো তরুণ। জিম বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ বডিবিল্ডার হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। এবারই প্রথম হয় এর আগে এই রেকর্ড দখলেই ছিল।

৯০ বছর বয়সে অনেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। ঘরে বিশ্রাম নিয়ে সময় কাটান। সেখানে জিমের সময় কাটে জিমনেশিয়ামে শারীরিক নানান কসরত করে। নির্ধারিত সময়ের মাসদেড়েক আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন। ‘প্রিম্যাচিউর’ সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে মরণপণ লড়াই করতে হয় মা-বাবাকে। তখনও অবশ্য মা-বাবা জানতেন না, যে একদিন এই শিশু বিশ্বের বয়স্কতম বডিবিল্ডারের রেকর্ড গড়বে।

আরও পড়ুন: টানা ৫৮ ঘণ্টা চুম্বন করে বিশ্বরেকর্ড দম্পতির

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, ২০১৫ সালেই বিশ্বের বয়স্কতম বডিবিল্ডার হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন জিম অ্যারিংটন। তখন তার বয়স ছিল ৮৩ বছর। কিন্তু সেখানেই থেমে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না তার। ৯০ বছর বয়সেও তাই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন জিম।

সম্প্রতি তিনি একটি প্রতিযোগিতায় পুরুষদের ৭০ কেজি ওজন তোলা বিভাগে তৃতীয় এবং ৮০ কেজি ওজন তোলা বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করেছেন। সম্প্রতি পুরুষদের একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পত্রিকায় তার নগ্ন দেহসৌষ্ঠবের ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৬০ বছর ধরে ঘুমান না তিনি!

জিম আরিংটনের জন্ম ১৯৩২ সালে। সারাজীবন বেশ পরিশ্রম করেই কাটাতে হয়েছে তাকে। মাঝে মাঝে বডি বিল্ডিং ম্যাগাজিনগুলো পড়তেন। মূলত সেখান থেকেই শরীরচর্চা করা অনুপ্রেরণা পান জিম। শুরুতে তিনি শুধু মাত্র আকর্ষণীয় বডি পাওয়ার জন্যই শরীরচর্চা করতেন। মূলত নারীদের আকৃষ্ট করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। তখন তার বয়স মাত্র ২০ এর কোঠায়। তবে ধীরে ধীরে শরীরচর্চা তার নেশায় পরিণত হয়।

প্রায় ৭০ বছর ধরে শরীরচর্চা করছেন জিম। ৬০টিরও বেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। জিম আরিংটন তার জীবদ্দশায় ১৬টি প্রতিযোগিতায় জিতেছেন।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।