শরীরে আগুন নিয়ে ১০০ মিটার দৌড়

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৩

বিশ্বের কয়েকশো কোটি মানুষের মধ্যে অদ্ভুত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই তো এসব উদ্ভট মানুষের উদ্ভট সব কার্যকলাপের স্বীকৃতিও দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। সেই বিশ্বরেকর্ড গড়তে আবার একেক জন একেক কাণ্ড ঘটান। তাদের মধ্যেই একজন জোনাথন ভেরো।

সম্প্রতি শরীরে আগুন নিয়ে ১০০ মিটার দৌড়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সেটাও আবার মাত্র ১৭ সেকেন্ডে। অক্সিজেন ছাড়াই দীর্ঘতম দূরত্বের ফুল বডি বার্ন রানে একটি নয়, একসঙ্গে দুটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিশ্বরেকর্ড করতে আগুন খান নাসার প্রকৌশলী

প্রথম ১৭ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে একটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হন জোনাথন। তার আগে এই দুই রেকর্ড ছিল অ্যান্টনি ব্রাইটন নামে একজন ব্রিটিশ নাগরিকের। ২০০৯ সাল রেকর্ডটি করেছিলেন ব্রাইটন। এরপর আরও ১৭২ দশমিক ২৫ মিটার দৌড়ে গড়েছেন আরেকটি রেকর্ড। যে রেকর্ডটি বহুদিন ছিল অ্যান্টনি ব্রাইটনের। তার আগে কিথ ম্যালকমের দখলে ছিল এই রেকর্ড।

৩৯ বছর বয়সী জোনাথন ভেরোর জন্ম ফ্রান্সের উবুদাঁ শহরে। পেশায় এখন অগ্নিনির্বাপণকর্মী। পাশাপাশি ফরাসি চলচ্চিত্রে স্ট্যান্টম্যান হিসেবেও কাজ করেন। সম্প্রতি ওই শহরে শরীরে আগুন নিয়ে দৌড়াতে দেখা যায় তাকে।

জোনাথন কোনো অক্সিজেন ছাড়াই ২০০ মিটারের বেশি দৌড়ান। দৌড়ানোর সময় তাকে একটি মানব-মশাল মনে হচ্ছিল। আগুন থেকে সুরক্ষায় তার শরীরে ছিল বিশেষ ধরনের পোশাক।

আরও পড়ুন: বিশ্বরেকর্ড গড়তে নিজের শরীরে আগুন

এরই মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জোনাথনের দৌড়ানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে ভিডিও চিত্রটি প্রায় ৩০ লাখ বার দেখা হয়েছে।

জোনাথনের ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব অর্জন করা। এজন্য তিনি প্রতিদিন চেষ্টা করেছেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অনেকদিন। অবশেষে স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছেন জোনাথন। তবে এখানেই থেমে যেতে চান না তিনি। তার এখনো অনেক রেকর্ড অর্জন করার বাকি আছে, সেই চেষ্টাই করছেন তিনি।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।