বিশ্বের বিখ্যাত ৫ পাঠাগার
বই জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। আর বইয়ের উৎস পাঠাগার। একটি জাতির পাঠাগার যত বেশি সমৃদ্ধ; সে জাতি তত বেশি উন্নত। প্রবাদ আছে, ‘একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য তার জ্ঞানের ভান্ডার পাঠাগার ধ্বংস করে দাও’। তাই প্রতিটি দেশে পাঠাগারের আছে আলাদা মর্যাদা। বিশ্বে এমন সব বিখ্যাত পাঠাগার আছে, যা পাঠকের জ্ঞানের পিপাসা মেটানোর পাশাপাশি এর নির্মাণশৈলী পাঠকের মনকেও জুড়িয়ে দেয়। জেনে আসা যাক বিশ্বের সেরা পাঁচটি পাঠাগার সম্পর্কে।
আমেরিকান লাইব্রেরি অব কংগ্রেস
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঠাগারের একটি আমেরিকান লাইব্রেরি অব কংগ্রেস। সুবিশাল এই পাঠাগারের সংগ্রহে আছে সর্বাধিক সংখ্যক বই, রেকর্ডিংস, মানচিত্র ও পাণ্ডুলিপি। যা সংখ্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ ১২ হাজার ৭৫০। আমেরিকার সবচেয়ে পুরোনো এ পাঠাগারের অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসিতে। এটি স্থাপিত হয় ১৮০০ সালে। প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস যখন সরকারি কার্যাবলি ফিলাডেলফিয়া থেকে ওয়াশিংটনে স্থানান্তর করেন, তখন থেকে এর পথচলা শুরু।
ব্রিটিশ লাইব্রেরি
ব্রিটিশ লাইব্রেরি যুক্তরাজ্যের জাতীয় গ্রন্থাগার। লন্ডনে ১৭৫৩ সালে স্থাপিত পৃথিবীর বিখ্যাত গবেষণা গ্রন্থাগারগুলোর একটি। এখানে প্রায় সব ভাষার বিভিন্ন ধরনের ১ কোটি ৫৫ লাখের বেশি বই আছে। এতে সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা ২ কোটি ৩৫ লাখ। প্রতি বছর এর সংগ্রহশালায় যুক্ত হয় প্রায় ৩০ লাখ নতুন বই। প্রায় ১৩২০ বছরের পুরোনো বই সেন্ট কাথবের্ট গসপেল। যেটি ক্রিশ্চিয়ান ধর্মবাণী সংবলিত বই। এটি স্কটল্যান্ডের নর্দামব্রিয়ান চার্চের ধর্মগুরু সেন্ট কাথবের্টের মৃত্যুর পর তার সমাধিতে কফিনের সঙ্গে দেওয়া হয়। নানা হাত ঘুরে বর্তমানে এখানেই আছে বইটি। এতে আছে ৬২৫ কিলোমিটার বই রাখার সেলফ। প্রতি বছর এ সেলফের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ে।
আরও পড়ুন: আধুনিকতার ছোঁয়ায় কদরহীন কুপি বাতি ও হারিকেন
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব কানাডা
এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পাঠাগার। এর সংগ্রহে আছে ২ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার ৫৪টি বই। এটি কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বিভাগ। কানাডার ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত লেখা, ছবি ও দলিলপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত এটি। কানাডার দৃষ্টিনন্দন এ পাঠাগারটি সরকারি আওতাভুক্ত।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাগার
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাগার একটি পূর্ণাঙ্গ পাঠাগার পদ্ধতি। এটি আমেরিকার সবচেয়ে পুরোনো পাঠাগার এবং পৃথিবীর প্রাচীন একাডেমিক পাঠাগারের মধ্যে অন্যতম। প্রায় ৯০টি শাখা সমন্বিত এটি। সর্বমোট বইয়ের সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লাখ। বই সংগ্রহের দিক দিয়ে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম পাঠাগার এটি। একইসঙ্গে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাগার। পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বড় পাঠাগারের দেখা মেলে না। এটি স্থাপিত হয় ১৬৩৮ সালে।
আরও পড়ুন: ৮২ বছরের জীবনে কোনো নারীকেই দেখেননি তিনি
ন্যাশনাল ডায়েট লাইব্রেরি
এটি জাপানের টোকিওতে অবস্থিত। ১৯৪৮ সালে এটি জননীতি সংক্রান্ত গবেষণার জন্য স্থাপিত হয়। এখানে আছে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪ হাজার ১৩৯টি বই। জাপানজুড়ে এর ২৭টি শাখা আছে। বিজ্ঞান, ধর্ম, রাজনীতি, আইন, মানচিত্র, সংগীতসহ সব ধরনের বই সংরক্ষিত আছে ন্যাশনাল ডায়েট পাঠাগারে।
কেএসকে/এমএস