চা শ্রমিক দিবস
শিক্ষায় পিছিয়ে চা বাগানের শিশুরা
রফিকুল ইসলাম জসিম
শিক্ষা মানুষের একটি জন্মগত অধিকার। মানুষের পূর্ণরূপে মানুষ হয়ে ওঠার একটি প্রধান অবলম্বন হলো শিক্ষা। সাধারণভাবে দেশে সর্বজনীন শিক্ষার কথা প্রতিষ্ঠিত হলেও চা বাগানের শ্রমিকদের সন্তানরা অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
দেশের আইনে প্রাথমিক শিক্ষা শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও চা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংস্পর্শে আসতে দেওয়া হয় না, তাদের শিক্ষারও সুযোগ দেওয়া হয় না। চা জনগোষ্ঠীর শিশুদের বেড়ে ওঠাতে নেই একাডেমিক শিক্ষার ছোঁয়া। যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে এভাবেই।
সিলেট অঞ্চলের চা জনগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা দেশের ১৬৬টি বাগানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে মাত্র ৬টিতে (মতান্তরে১০/১২টি), মাধ্যমিক স্কুল আছে ৩টিতে। চা বাগানগুলোতে বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি। এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা সরকারি বৃত্তি পায় না। আবার বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সরকারের ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি চা বাগানগুলোতে। তবে চা বাগান কর্তৃপক্ষ এবং এনজিওগুলোর সহযোগিতায় মোট ১১৪টি প্রাথমিক বেসরকারি বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান পদ্ধতি ও শিক্ষকমন্ডলী যুতসই নয়। ফলে চা বাগানের শিশুরা যুগোপযোগী প্রাথমিক শিক্ষা পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: উপমহাদেশে জাদুঘরের উৎপত্তি
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চা বাগানে অভিভাবকরা অধিকাংশ নিরক্ষর বলে সন্তানদের লেখাপড়ার বিষয়ে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। এছাড়া সন্তানদের শিক্ষার ব্যয় বহনের ক্ষমতা ও সামর্থ্য অভিভাবকদের না থাকায় এনজিও সংস্থা পরিচালিত শিশুদের স্কুলের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। শিশুরা বাড়িতে সাহায্য না পাওয়ায় অনেকে স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। ফলে চা শিল্পে জড়িত জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়।
চা বাগান শিক্ষা অধিকার পরিষদের দাবি, যুগ যুগান্তরের অবহেলা-অপমানের বোঁঝা সমগ্র চা জনগোষ্ঠীকে শুধু সভ্যতার আলো থেকেই বঞ্চিত করেনি, নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে ভাবার অধিকার থেকেও যেন বঞ্চিত করেছে। আর এই পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ গত দেড়শ বছর থেকে সমগ্র চা জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষায় অব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধার অভাব, বাগানের স্কুলগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করা অতীব জরুরি।
বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক কর্তৃক আয়োজিত চা বাগান ও হাওর অঞ্চলের শিশুদের বিকাশ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ সুবিধা পর্যাপ্ত নয়। যে কারণে সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার হার যেখানে ৯৫ শতাংশের উপরে, সেখানে চা বাগান অঞ্চলের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ সারাদেশের তুলনায় এসব অঞ্চলে ২০ শতাংশেরও অধিক শিশু প্রাথমিকের পূর্বেই ঝরে পড়ে। আর বাকি ১০ শতাংশ ঝড়ে পড়ে সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে। এর বড় কারণ হিসেবে তারা দায়ী করেন, চা শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষায় অব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধার অভাবকে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ২৬ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সেখানে চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৬১ শতাংশ। তাই চা শ্রমিকদের জন্য আলাদা পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, চা বাগানের অনেক স্কুল এনজিওরা চালায়। এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা সরকারি বৃত্তি পায় না। তাদের সরকারি বৃত্তি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছি। এসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, চা-বাগানসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এলাকায় চা বাগানে ৩২টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, যেগুলোর সাতটির অবস্থাই নাজুক। এর মধ্যে একটি স্কুল এমন যেখানে, সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কক্ষ রয়েছে। আবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে এডুকো বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় চাইল্ড ফান্ড কোরিয়ার অর্থায়নে ‘আলোয় আলো’ প্রকল্পে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১০টি চা বাগানে ৩ বছর থেকে ৫ বছরের মধ্যে চা শ্রমিকদের সন্তানদের বিকাশে ও নারী চা শ্রমিকদের সন্তানদের দিবাযত্নের দায়িত্ব পালন করছে। প্রকল্পের কর্মকর্তা বিজয় কুমার কৈরী জানান, ‘আলোয় আলো প্রকল্পটি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য শিশুর প্রতিভার বিকাশ কেন্দ্রসহ প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছে। তবে ‘প্রকল্পটি চা জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগালেও আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
সীমান্ত এলাকায় ধলই চা বাগানের কবি ও লেখক কানাই লাল পাশী জানান, চা বাগানের স্কুলগুলোতে সরকার থেকে কোনো ধরনের শিক্ষা উপকরণ কিংবা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে না । এছাড়াও স্থানীয় চা শ্রমিকরা আরও জানান, স্কুলের ফি, বইপত্র, খাতা কিনতে অর্থের প্রয়োজন। সেই অর্থ জোগাড় করতে না পেরে অনেকেই তাদের সন্তানদের ঋণ করে লেখাপড়া করাচ্ছেন। মজুরি অনেক কম হওয়ায় চা শ্রমিকদের বলতে গেলে সবাই ঋণগ্রস্ত। তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নেন। প্রতি সপ্তাহেই ঋণের কিস্তি শোধ করতে হয়। ফলে তাদের মজুরির টাকাও ঘরে নিতে পারেন না।
তারা আরও জানান, এরই মধ্যে অদম্য ইচ্ছা শক্তির উপর ভর করে কিছু ছাত্র পড়াশোনা করে। এদের প্রায় সবাই ছুটির দিনে বা কখনো কখনো স্কুল বাদ দিয়ে সাধ্য অনুযায়ী বাগান বা আশপাশের এলাকায় কাজ করে। এই উপার্জনের পয়সা দিয়ে চলে শিক্ষা অর্জন। ফলে মাধ্যমিকের কোটা শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায় বাগানের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাজীবন।
বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের চম্পা নাইডু বলেন, ‘বাগানে শিক্ষা বলতে একটি ভাঙা স্কুলঘর। এক বা দুইজন শিক্ষক। যারা আবার যোগত্যা সম্পন্ন নন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর শিক্ষার আর কোনো সুযোগ নেই। অনেক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও নেই।’
বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকা প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি বিদ্যালয়ের জন্য নিজস্ব জমি থাকা আবশ্যিক। কিন্তু বাগানের জমি তো ইজারা নেয়া। তাই বাগানগুলোতে সরকারি বিদ্যালয় করা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চা বাগানের জন্য এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে। ফলে বাগানের অনেক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। আরও কিছু করার প্রক্রিয়ায় আছে।’
আরও পড়ুন: মাটির ঘর শুধুই পূর্বপুরুষের স্মৃতি
চা শ্রমিকদের নিয়ে পিএইচডি করা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আশ্রাফুল করিম বলেন, ‘শিক্ষা নিয়ে মালিকদের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। স্কুলের নামে একটি ছাপড়া ঘর আর একজন শিক্ষক ছাড়া আর কিছুই নেই বেশির ভাগ বাগানে। শহর আর মহাসড়কের পাশের বাগানগুলো ছাড়া বাকিগুলোতে সরকারি বিদ্যালয়ও নেই।’
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারপারসন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চা বাগানগুলো নিজস্ব উদ্যোগে শিশুদের জন্য স্কুল পরিচালনা করে। এটা একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সমস্যা হলো, এক বা দুজন শিক্ষক সব বিষয় পড়ান। সারাদেশের প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকার থেকে প্রতি মাসে উপবৃত্তি পাচ্ছে। কিন্তু চা বাগানের স্কুলে যারা পড়ে, তারা এই বৃত্তি পায় না। চা বাগানের স্কুলগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করা অতীব জরুরি’।
কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা চা বাগানের মিনা কৈরী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার মা চা বাগানে কাজ করে। আর বাবা যখন যা পায় তাই করে। তিন কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। যদি আমাদের বাগানে একটি স্কুল থাকতো তাহলে অনেক ভালো হতো’।
চা বাগানে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতির প্রায় ৯৮টি জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে। কিন্তু সরকারি প্রজ্ঞাপনে নৃগোষ্ঠী হিসেবে সাঁওতাল, মুন্ডা, রাজবংশী, দেশোয়ারাসহ হাতেগোনা কয়েকটি জাতি (যারা সংখ্যায় খুব কম) ছাড়া আর কোনো জাতি অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। যার ফলে চা জনগোষ্ঠীর কেউ সরকারি চাকরি কিংবা উচ্চ শিক্ষায় নৃগোষ্ঠী কোটা সুবিধা পায় না। পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীর সংগঠন চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাস বলেন, ‘চা জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক বিকাশের স্বার্থে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে ‘বিশেষ কোটা’ পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বাগানের একটি ছোট্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শত যোগ্যতা থাকলেও শ্রমিক সন্তানকে নিয়োগ দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয় বাগানের বিভিন্ন পদে কর্মরতদের সঙ্গে শ্রমিকদের একটা সাংস্কৃতিক মনস্তাত্বিক বিরোধ তৈরি করা হয়েছে। চা বাগানে চাইলেই বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে যেমন কাজ চালানো যায় না, একইভাবে শুধু যন্ত্র নির্ভর করেও এর উৎপাদন বাড়ানোরও উপায় নেই। তাই এই বিশাল কর্মক্ষম যুব শক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে যোগ্যতার নিরিখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চা শ্রমিকদের বিভিন্ন পদে চাকরি দিতে হবে’।
চা শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক গীতা রানী কানু বলেন, ‘দেশের অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে যেমন কোটা সুবিধা রয়েছে, চা-জনগোষ্ঠীর জন্য তেমন কোনো বিশেষ কোটা ব্যবস্থা নেই। অথচ চা-জনগোষ্ঠী দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এবং বঞ্চিত জনগোষ্ঠী। চা বাগানের শিক্ষার সমস্যা দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়,কিন্তু আশু সমাধান হিসেবে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিনামূল্যে চালু এবং বিশেষ কোটা পদ্ধতি চালু করা খুবই যৌক্তিক’।
চা বাগানের মানব সম্পদ উন্নয়ন কিংবা শ্রমিক কল্যাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিক্ষা অথচ তা বারে বারে উপেক্ষিত হচ্ছে। এদিকে শিক্ষা যে মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ একথা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য। ফলে একথা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, উচ্চ শিক্ষিত মানুষ মানেই উচ্চ ক্ষমতা-দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ। সাধারণ চা শ্রমিকরা জানান, আমরা মনে করি চা শ্রমিকদের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়নের বিকল্প নেই, আর এ জন্য জাতীয় বাজেটে চা বাগানের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হোক।
চা শ্রমিক গবেষক এবং সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড) পরিচালক ফিলিপ গাইন বলেন, বাংলাদেশের চা শ্রমিকরা, যাদের বেশিরভাগই অবাঙালি এবং পাঁচ প্রজন্ম ধরে চা বাগানের সঙ্গে আবদ্ধ, তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নেই। বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসাসহ জীবনের মৌলিক চাহিদার গ্যারান্টি দেয়। চা বাগানের মালিক এবং সরকারি কর্তৃপক্ষ উভয়েরই চা শ্রমিকদের চাহিদা পূরণের দায়িত্ব রয়েছে।
এক কথায় শিক্ষাক্ষেত্রে চা বাগানে সমস্যাসমূহ:
১. বাগানে শিশুরা যুগোপযোগী শিক্ষা পাচ্ছে না
২. বাগান শিক্ষায় অব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধার অভাব
৩. সন্তানদের শিক্ষিত করতে চা শ্রমিকরা ঋণগ্রস্ত
চা শ্রমিকদের দাবীসমূহ:
১. বাগানে সরকারি স্কুল নির্মাণ ও উপবৃত্তি চান
২. উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে 'বিশেষ কোটা' চান
৩. বাগানের চা শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি চান
৪. বাগানের শিক্ষাখাতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ চান
লেখক: ফিচার লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
কেএসকে/এমএস