সঞ্চয়পত্র কোথায় ও কীভাবে কিনবেন?
বিনিয়োগের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকে স্থায়ী আমানত এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তুলনায় এবং নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ মুনাফার দিক থেকেও সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে আকর্ষণীয়।
অনেকে সঞ্চয়পত্রের ব্যাপারে জানলেও তা কোথায় পাওয়া যাবে, কীভাবে কিনতে হবে তা জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সঞ্চয়পত্র কোথাও পাবেন ও কীভাবে কিনবেন। তার আগে জেনে নেওয়া যাক কত ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন সে সম্পর্কে-
বর্তমানে চার প্রকার সঞ্চয়পত্র প্রচলিত রয়েছে
১. তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র (৩ বছর মেয়াদি)
২. পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র(স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগের সুযোগ আছে)
৩. পেনশনার সঞ্চয়পত্র (৫বছর মেয়াদি)
৪. পরিবার সঞ্চয়পত্র (৫ বছর মেয়াদি)
৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পেনশনার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের। এগুলো কেনা যায় জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয়, সব তফসিলি ব্যাংক ও সব ডাকঘর থেকে। একই জায়গা থেকে ভাঙানোও যায়। জেনে নিন কোন কোন ব্যাংক থেকে জাতীয় সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে-
আরও পড়ুন: অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট করবেন যেভাবে
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, সিটিব্যাংক এনএ, এইচএসবিসি, উরি ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ভারতীয় স্টেট ব্যাংক, ব্যাংক আলফালাহ্, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে যা করবেন-
১. সব সঞ্চয়পত্রেরই নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেই এ ফরম পাবেন। সঞ্চয়পত্র কিনতে ফরম পূরণ করতে হবে এবং সঙ্গে দিতে হয় গ্রাহক ও নমিনির দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি। গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর মাধ্যমে। তবে নমিনির ছবির সত্যায়িত করতে হবে গ্রাহককে।
২. পাঁচ লাখ টাকার বেশি অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) থাকতেই হবে। এক লাখ টাকা পর্যন্ত অবশ্য ই-টিআইএন লাগে না।
৩. গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি অবশ্যই দিতে হবে। নমিনি নাবালক হলে জন্মনিবন্ধনের কপি লাগবে।
৪. গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি, যে হিসাবে গ্রাহকের মুনাফা ও আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে, সে হিসাবের নম্বর লাগবে। পেনশনের সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে লাগবে সর্বশেষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সনদ।
৫. পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনের সঞ্চয়পত্র।
কেএসকে/জেআইএম