ঈদুল-ফিতর

ঈদ হোক সবার

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৩

‘ঈদ’ পবিত্র একটি শব্দ। ঈদ শব্দটা শুনলেই মনে জাগে আনন্দ। হৃদয়ে কাজ করে অন্যরকম অনুভূতি, বহন করে আনন্দের আলাদা মাত্রা। যে মাত্রা অন্য কোনো শব্দে নেই। ঈদ মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি মানুষ এ উৎসবে শামিল হয়। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও হয়েছে শামিল, জানিয়েছে অনুভূতি ও ঈদ উদযাপন সম্পর্কে। তাদের কথা তুলে ধরেছেন মামুনূর রহমান হৃদয়-

সুমাইয়া রহমান আরজু, রসায়ন বিভাগ
বছরে আমাদের মাঝে দুটি ঈদ আসে। তার মাঝে ঈদুল ফিতর অন্যতম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর কাঙ্খিত এই দিনটির দেখা মিলে। ঈদের দিন ধনী-দরিদ্রের বিভেদ থাকে না। সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায় করে। একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে। ইসলাম এভাবেই ভ্রাতৃত্ব-বন্ধনে নিজেদের পরিচালিত করতে শিক্ষা দেয়। সবার মুখে হাসি ফুটবে, থাকবে না বিভেদ। জয়গান হোক সাম্যবাদের। এটাই এবারের ঈদ চাওয়া।

হাসান সিকদার, বাংলা বিভাগ
ঈদ শব্দের মাঝে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। বিশেষ করে ছোটবেলার ঈদে আনন্দ ছিল বেশি। সময়ের স্রোতে বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে, কমে গেছে ঈদের আনন্দও। বাড়ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। তাই সুবিধাবঞ্চিতরা যেন ঊর্ধ্বগতির এই ভিড়ে ঈদ আনন্দ না হারিয়ে ফেলে সেজন্য চাই প্রশাসনের ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: শৈশবের ঈদ স্মৃতি জীবনের সঙ্গে গেঁথে আছে

মেহেদী হাসান পিয়াস, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
ঈদে আমরা পরিবার, আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করি। পাশাপাশি যদি ধনী-গরীব মিলে ঈদে দুঃস্থদের সহায়তা করার লক্ষ্যে কাজ করি সবার ঈদ আনন্দ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তাই বলব বাড়িয়ে দিন সহায়তার হাত ও পরিবার নিয়ে সুন্দর দিন কাটান।

সাব্বির হোসেন, ইংরেজি বিভাগ
সুন্দর একটি ঈদের অপেক্ষায় সবাই। অনেকেই আত্নীয়-স্বজনের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিবেন। কেউবা ঘরে বসেই টিভিতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা জমাবে অনেকে। সেমাই, চটপটি, ফুচকার আনন্দ, চায়ের কাপে তুলবে ঝড়! বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, হাসিগুলো ছড়িয়ে দেবে সবখানে! নৌকা হবে মুক্ত পালের। এভাবেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিক সবাই।

আরও পড়ুন: সাম্যের উৎসবে না হোক বৈষম্য

মাহমুদা আক্তার, বাংলা বিভাগ
ঈদ অর্থ খুশি ও উৎসবের আনন্দ। মুসলমানদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা। তার মধ্যে ঈদ-উল-ফিতর অন্যতম। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করে দিনটি। এই ঈদ আনন্দ মুসলমানদের প্রাণে আনে খুশির জোয়ার। তাই এবারের ঈদে প্রত্যাশা থাকবে সমাজের বিত্তবানরা যেন হতদরিদ্রদের জন্য কাজ করে। কেননা দান করাটাও ভাগ্যের।

লেখক: শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।