মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম ও সেলিম আল দীনের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার। ৩০ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
মহাশ্বেতা দেবী
একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী। ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১০০টিরও বেশি উপন্যাস এবং ২০টিরও বেশি ছোটোগল্প সংকলন রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো- হাজার চুরাশির মা, রুদালী, অরণ্যের অধিকার, ঝাঁসির রানি, অগ্নিগর্ভ, মূর্তি, নীড়েতে মেঘ, স্তন্যদায়িনী, চোট্টি মুন্ডা এবং তার তীর ইত্যাদি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ় রাজ্যের আদিবাসী উপজাতিগুলোর (বিশেষত লোধা ও শবর উপজাতি) অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ, বঙ্গবিভূষণ, সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, রামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার, সার্ক সাহিত্য পুরস্কার, যশবন্ত রাও চবন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
সেলিম আল দীন
বাংলাদেশি নাট্যকার, গবেষক। ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখীল গ্রামে জন্ম তার। লেখক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে, কবি আহসান হাবীব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার মাধ্যমে। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে লেখা তার বাংলা প্রবন্ধ নিগ্রো সাহিত্য ছাপা হয় ওই পত্রিকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্যবিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্যকোষ সংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন। তার রচিত হরগজ নাটকটি সুয়েডীয় ভাষায় অনূদিত হয় এবং এ নাটকটি ভারতের রঙ্গকর্মী নাট্যদল হিন্দি ভাষায় মঞ্চায়ন করেছে। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী সম্মাননা, একুশে পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ঘটনা
১৫১৪- দাসপ্রথার বিরুদ্ধে পোপ লিও এক্স ঘোষণা দেন।
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়।
১৯৬৯- পূর্ব বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচী গৃহীত হয়।
১৯৭২- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
২০০৫- শনি গ্রহের চাঁদ টাইটানে হুইজেন্স প্রোবের অবতরণ।
২০০৮- নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলাধের্র ছবি তুলতে সক্ষম হয়।
জন্ম
১৫৫১- মুঘল যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক আবুল ফজল।
১৮৩১- বাঙালি পুরাতত্ত্ববিদ এবং লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ তারাপদ সাঁতরা।
১৯০৩- ইতিহাসবিদ ড.নীহাররঞ্জন রায়।
১৯২৪- বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্ত।
১৯২৬- ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবী।
১৯৬৭- ইংরেজ চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেত্রী এমিলি ওয়াটসন।
মৃত্যু
১৯৫৪- ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৬২- কল্লোল, কালিকলম, প্রগতি পর্বের শক্তিমান লেখক অমরেন্দ্রনাথ ঘোষ।
১৯৭১- প্রগতিবাদী সাহিত্যিক ও সংগঠক দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৭২- ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী অনুভা গুপ্ত।
২০০৮- বাংলাদেশি নাট্যকার সেলিম আল দীন।
কেএসকে/এমএস