রড নিয়ে যত ভুল ধারণা

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৩

প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ফারহান
উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে। গত এক যুগ ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ক্ষমতাসীন সরকারের উচ্চাকাঙ্খায় দেশের অবকাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে অনেক এবং ক্রমাগত তা হচ্ছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আর এই অবকাঠামো উন্নয়নের বিপ্লবের এক বড় উপাদান হলো রড। যদিও দেশে এখন স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে তবুও আর.সি.সি কাজের চাহিদা ক্রমাগত অব্যাহত আছে এবং থাকবেই।

বর্তমানে দেশে যত কোম্পানি আছে তাদের সব মিলে রড উৎপাদনের সক্ষমতা আছে বাৎসরিক প্রায় ৯০ লাখ মেট্রিক টন। তবে তার বিপরীতে চাহিদা আছে প্রায় ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে মোট রড বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন যদিও ঠিক তার আগের বছর ২০২০ এ করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে ২০১৯ এর তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম রড বিক্রি হয়েছে। নভেম্বর মাস শেষ পর্যন্ত রডের সরবরাহ হয়েছে প্রায় প্রায় ৫৫ লাখ ৭২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। সমীক্ষা বলছে ২০২২ সালে মোট রডের সরবরাহ সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে ৬০ লাখ টনের ঘর ছুঁতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশে রডের বাজারের পরিমাণ বছরে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকা, যা অনেকেরই অজানা। কনস্ট্রাকশন ম্যাটেরিয়ালস মার্কেটে আমার ৮ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি এই রডের ব্যাপারে অনেক ভুল ধারণা দেখেছি। সাধারণ মানুষ তো বটেই অনেক প্রকৌশলীদের মাঝেও আমি অনেক ভ্রান্ত ধারণা পেয়েছি। যা ছিল একজন প্রকৌশলী হিসেবে আমার জন্য অনেক কষ্টের এবং লজ্জার। চলুন রড নিয়ে কিছু মতবাদের স্পষ্ট ধারণা নেওয়া যাক-

প্রথম ধারণা: সিক্সটি-ফাইভ হান্ড্রেড
সিক্সটি গ্রেড (৬০ গ্রেড) ও ফাইভ হান্ড্রেড (৭২.৫ গ্রেড) সম্পূর্ণ আলাদা দুটি গ্রেডের রড। অনেকেই এই দুটিতে একসঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। এমনকি ভালো মানের কোম্পানিগুলোতে এখন ৬০ গ্রেডের মাঝে দুই রকম (এএসটিএমএম-৬১৫ ও এএসটিএমএম-৭০৬) এবং ৭২.৫ গ্রেডের দুই রকম রড (বি৫০০সি ডব্লিও আর ও বি৫০০ডি ডব্লিও আর) তৈরি হচ্ছে।

দ্বিতীয় ধারণা: দেখতে চকচকে রড মানে ভালো
রডের গুণগত মান নির্ভর করে রডের ম্যাকানিক্যাল প্রপার্টিজ (যেমন-ইয়েল্ড স্ট্রেথ, টেনসাইল স্ট্রেংথ, ডাকটিলিটি , ইলংগেশন, বেন্ডাবিলিটি ইত্যাদি), ক্যামিক্যাল প্রপার্টিজ (যেমন- কার্বন, সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসরাস, সালফার, কার্বন ইকুইভ্যালেন্ট ইত্যাদির শতকরা হার), মাইক্রোস্কোপিক এনালাইসিস রিপোর্ট, ফ্যাটিগ টেস্ট রেজাল্ট এগুলোর উপর। রড দেখতে কালো, লাল, নাকি তামাটে এর সঙ্গে গুণগত মানের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।

তৃতীয় ধারণা: লালচে মানেই রড খারাপ
রডের সম্পর্কে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা এটি। এ নিয়ে আমি এর আগেও একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছিলাম, “লাল মানেই মরিচা নয়,মরিচা মানেই রড খারাপ নয়” এই শিরোনামে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, রডের প্রাকৃতিক ধর্মই হলো সে বাতাসের সংস্পর্শে এলে লালচে হবে ধীরে ধীরে। তবে এটি জং না। এই লালচে ভাব রডের মূল ধর্মের বা বৈশিষ্টের কোনো পরিবর্তন বা অবনমন করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, রড খোলা জায়গায় ১৮ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত রাখলেও এর বাহ্যিক কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয় না। যদিও এটি দেখতে ভালো না দেখালেও পরীক্ষাগারে একই রকম ফল দেখাবে যেমনটা নতুন অবস্থায় ছিল। যদি মরিচা শক্তভাবে বারের/রডের সঙ্গে লেগে থাকে, তাহলে মরিচা বারের চারপাশের কংক্রিটের বন্ড/বন্ধনের বৈশিষ্ট্যগুলোকে উন্নত করবে। এই জং অপসারণের দরকার নেই। এটি ব্যাবহারযোগ্য। এছাড়াও জানুয়ারি ২০০৪-এ এএসটিএম এর একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ২% পর্যন্ত মরিচা এরকম বা হালকা মরিচা যেটা ২% পর্যন্ত রডের বাহ্যিক আকার আয়তনে প্রভাব ফেলে, সেইসব মরিচা কংক্রিটের সঙ্গে রডের বন্ধনকে আরও বেশি দৃঢ় করে। এছাড়া আমরা যে ব্রাশ দিয়ে ঘষাঘষি করি, কংক্রিট রেইনফোর্সিং স্টিল ইনস্টিটিউট (সিআরএসআই) এর মতে এরও কোনো দরকার নেই। রডের গা থেকে আলগা ময়লা, হালকা মরিচা থাকে তা ব্যবহারের সময় এমনিতেই পরে যায় যদি না রডের গায়ে তৈলাক্ত কোনো পদার্থ লেগে না থাকে। তৈলাক্ত পদার্থ থাকলে তা অবশ্যই কোনো কাপড় দিয়ে মুছে রড ব্যবহার করতে হবে।

চতুর্থ ধারণা: রডে কার্বন বেশি বাঁকাতে গেলে ভেঙ্গে যায়
রডে সাধারণত শতকরা ০.৩ বা এর আশেপাশে পরিমাণের কার্বন থাকে।এর চেয়ে বেশি কার্বনের উপস্থিতি থাকলে এটি আর মাইল্ড স্টিল থাকবেনা ,তা হয়ে যাবে মিডিয়াম কার্বন স্টিল। এখন পর্যন্ত আইএসও কিংবা এএসটিএম যে নির্দেশিকা দিয়েছে তাতে কার্বনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ০.৩% বা এর আশেপাশে রাখতে বলা হয়েছে। কোনো ভালো ব্র্যান্ডের রড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি কার্বনের পরিমাণ বেশি রাখেনা ঐ নির্দেশিকার বাইরে। রড মূলত বাঁকা করতে গিয়ে ভেঙ্গে যায় বা ফেটে যায় ম্যান্ড্রেল ব্যবহার না করার কারণে। আমাদের দেশে যেভাবে রডকে টেনেটুনে সোজা করে বা বাঁকা করে তা সম্পূর্ণ ভুল। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত থাম্বরুল হলো ১৬মিলি ডায়ামিটার পর্যন্ত রডের ম্যান্ড্রেলের সাইজ হবে কমপক্ষে এর চারগুন অর্থাৎ ৬৪ মিলি। আর এর উপরের রডের জন্য ম্যান্ড্রেলের সাইজ হবে ঐ ডায়ামিটারের কমপক্ষে ৭গুন। ম্যান্ড্রেল ডায়ামিটার হলো সেই ডায়ামিটার যাকে কেন্দ্র করে রডকে বাঁকাতে হয়।

আরেকটা ভুল ধারণা রয়েছে এই রড সোজা বাঁকা করার ব্যাপারে, সেটা হলো রডকে একবারে ৯০ ডিগ্রী পর্যন্ত বাঁকা করে তাকে আবার সোজা করতে যাওয়া। যা করলে রড ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে এবং এটা নিষিদ্ধ। রডকে একবারে ৯০ ডিগ্রী এঙ্গেলে বাঁকা করলে তাকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে সর্বোচ্চ আবার ১৩৫ ডিগ্রী পর্যন্ত সোজা করার অনুমতি আছে। এর বেশি করলে রডের অভন্তরীন গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায় যদিও সেটা না ভেঙ্গে ঠিক থাকে।

পঞ্চম ধারণা: কোন রড ভালো সিক্সটি, ফাইভ হান্ড্রেড , ফাইভ ফিফটি নাকি সিক্স হান্ড্রেড?
এই সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণভাবে আপনার নির্মাণের প্রকৌশলীর কাছে ছেড়ে দিন। কারণ প্রত্যেকটা রডই ভালো এবং প্রত্যেক গ্রেড রডের আলাদা আলাদা ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুণ আছে। আপনার নির্মাণের ধরণ ও কনক্রিটের মিক্স ডিজাইনের উপর নির্ভর করে প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত নেবেন কোন গ্রেডের রড আপনার অবকাঠামোর জন্য সর্বোত্তম এবং একই সঙ্গে সাশ্রয়ী। কখনোই এই ধরনের সিদ্ধান্ত রাজমিস্ত্রীদের কাছ থেকে নিতে যাবেন না।

ষষ্ঠ ধারণা: ফাইভ হান্ড্রেড সিডব্লিওআর ভালো নাকি ফাইভ হান্ড্রেড ডিডব্লিওআর ভালো
এখানেও একই কথা, দুটো রডই ভালো এবং আলাদা আলাদা ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুণ সম্পন্ন। যদিও ইদানিং অনেক কোম্পানি ডিডব্লিওআর কে সিডব্লিওআর এর তুলনায় বেশি ভালো বলছেন কারণ তার ডাকটিলিটি বা সহ্য ক্ষমতা বেশি বলে কিন্তু কার্বন এবং কার্বন ইক্যেভ্যালেন্টের পরিমাণ বেশি থাকায় এর বেন্ডাবিলিটি বা বাঁকানোর ক্ষমতা কম যা অনেক নির্মাণ কাজের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যদি ম্যান্ড্রেল মেশিন এবং দক্ষ রড মিস্ত্রী নির্মাণ সাইটে উপস্থিত থাকে তবেই কেবল বলা যায় ডিডব্লিওআর ভালো পছন্দ।

সপ্তম ধারণা: কোন টেকনোলজি দ্বারা উৎপাদিত রড সর্বোৎকৃষ্ট
টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে কাঁচামালের বিশুদ্ধকরণ, রডের সঠিক মাত্রার রাসায়নিক গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোপরি কাঙ্খিত ভৌত গুণাগুণ অর্জন করার জন্য। এখন কেউ যদি পুরোনো পদ্ধতির ইন্ডাকশন ফার্নেস এর সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত অপারেশন বা ধাপ যোগ করে কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছাতে পারে তাহলে সে রড ও ভালো হতে পারে। বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে বর্তমানে যত টেকনোলজি আছে তার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক টেকনোলজি হলো কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস টেকনোলজি যা সম্পূর্ণ অটোমেটেড এটাই বর্তমানে স্টেট অব দ্য আর্ক। এছাড়া আরও কিছু বৃহৎ কোম্পানির কিছু আধুনিক টেকনোলজি আছে যেমন- ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস, থার্মেক্স,পমিনী ইত্যাদি। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে সার্বিক দিক বিবেচনায় সবচেয়ে আধুনিক টেকনোলজি দিয়ে সর্বোত্তম রড তৈরির সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

অষ্টম ধারণা: ওজন
প্রায়ই দেখা যায় ক্রেতারা বিভিন্ন রড উৎপাদনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যে তারা ওজনে কম দেয় কিংবা তাদের রড ওজনে কম। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির যে ৪টি রিবার ম্যানুফ্যাকচারার আছে (বিএসআরএম, একেএস, জিপিএইচ ইস্পাত ও কেএসআরএম) ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কয়েকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেমন- রহিম স্টিল, আনোয়ার ইস্পাত, এসসিআরএম ও আকিজ ইস্পাতের মতো প্রতিষ্ঠান কখনোই ওজনে কম বেশি করে না কারণ এদের প্রত্যেকের ফ্যাক্টরিতে যে ওয়ে-ব্রিজ আছে তা বি.এস.টি.আই কর্তৃক প্রতিনিয়তই ক্যালিব্রেশন করা হয়। তাহলে প্রশ্ন হলো বিতর্কের জন্ম হয় কীভাবে?

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব লিগ্যাল মেট্রোলোজি এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি এর মতে প্রায় একই সময়ে ক্যালিব্রেশন করা দুটো ওয়ে-ব্রিজের মাঝে ১০ টনের কোনো বস্তুর ওজনের পার্থক্য ২০ কেজি হতে পারে এবং এটি গ্রহণযোগ্য।

সাধারণত গ্রাহকরা যাচাই করার জন্য যে ওয়েট স্কেলে ওজন নেয় সেটি বেশিরভাগ সময়ই বি. এস.টি.আই-এর ক্যালিব্রেশন করা থাকেনা, থাকলেও তা থাকে অনেক দিন আগের। আর আমাদের ডিলার বা রিটেইলারদের দোকানে যে ছোট ছোট ওজন মাপার যন্ত্র আছে সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ক্যালিব্রেশন করা থাকেনা এবং একইসঙ্গে ১০ টন রড ওজন করতে পারেনা। তখন ভাগ ভাগ করে ওজন নেওয়া হয়। আর যখনই ভাগ ভাগ করে ওজন নিবেন তখনই প্রত্যেকবার ওজনে স্কেলের মধ্যে কিছু কিছু তারতম্য আসবে এবং যখনই আপনি সম্পূর্ণ রডের ওজন যোগ করবেন তখন অনেক সময় দেখা যায় একটা বড় পার্থক্য চলে আসে যা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পরে।

এবারে আসি রডের পিছ গুনে হিসাব মেলানোর ব্যাখ্যায়। এটি খুবই বৈজ্ঞানিক একটি পদ্ধতি বিশেষ করে যেখানে ক্যালিব্রেটেড ওয়ে-ব্রিজ না থাকে। এই পদ্ধতিতে আপনি প্রথমে প্রতি পিছ রডের ওজন বের করতে পারেন এবং সব রডের সংখ্যা দিয়ে গুণ করে মোট ওজন পেতে পারেন। [{(ডায়ামিটার X ডায়ামিটার) / ১৬২.২} X ১২] এই সূত্র দিয়ে আপনি সরবরাহকৃত একটি সম্পূর্ণ রডের ওজন বের করতে পারেন এবং রডের সংখ্যা দ্বারা গুণ করে মোট সরবরাহকৃত রডের তাত্ত্বিক ওজন পেয়ে যাবেন। যেহেতু রডের ডায়ামিটার সব সময় তাত্ত্বিক হিসেবকে মেনে চলেনা তাই ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের মতে এটি ডায়ামিটার ভেদে ৪% থেকে ৮% পর্যন্ত বেশিকম হতে পারে।

অতএব, ওজনের বিতর্ক দূর করার জন্য হয় ক্যালিব্র্যাটেড ওয়ে-ব্রিজ দ্বারা যাচাই করুন যেখানে প্রতি ১০ টনের জন্য সর্বোচ্চ ২০ কেজির পার্থক্য হতে পারে অথবা সঠিকভাবে একটি একটি করে রডের পিছ গুনে তাত্ত্বিক হিসেব ও বাস্তব হিসেবের মধ্যে ৪% থেকে ৮% পার্থক্য গ্রহণ করুন।

লেখক: প্রকৌশলী, এম.আই.ই.বি, বি.এস.সি ইন সিভিল-আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এম.বি.এ ইন মার্কেটিং-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।