জসীম উদ্‌দীন ও আবদুল হামিদের জন্ম

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৩

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

১ জানুয়ারি ২০২৩,রোববার। ১৭ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন
বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পুরো নাম মোহাম্মাদ জসীম উদ্‌দীন মোল্লা। ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে ভূষিত, তিনি আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি। তার নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার উৎকৃষ্টতম নিদর্শনগুলোর অন্যতম। তিনি প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার, বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর, ১৯৭৮) ভূষিত হন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। তার লেখা পল্লিগীতি আমার হার কালা করলাম রে, আমায় ভাসাইলি রে, বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে এখনো জনপ্রিয়। ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আবদুল হামিদ
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি (ব্যক্তি হিসেবে ১৭তম)। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে। সপ্তম জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে ১৪ জুলাই, ১৯৯৬ সাল থেকে ১০ জুলাই, ২০০১ সাল পর্যন্ত এবং ১২ জুলাই, ২০০১ সাল থেকে ৮ অক্টোবর ২০০১ সাল পর্যন্ত স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসাবে ২৫ জানুয়ারি, ২০০৯ সাল থেকে ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ সাল পর্যন্তও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও আবদুল হামিদ আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ১৯৬১ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২ সালে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’।

ঘটনা
৪৫ খ্রিস্টপূর্ব- জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনা।
১৭৮৮- যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দ্য টাইমস পত্রিকার প্রকাশনা শুরু।
১৭৮৯- কলকাতা-লন্ডন ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়।
১৮৮০- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ‘সি.আই.এ’ উপাধি লাভ করেন।
২০০২- তাইওয়ান চীনা তাইপে নামে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগদান করে।

জন্ম
১৮৯৪- ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসু।
১৮৯৫- বাঙালি শৈলতাত্বিক ভূবিজ্ঞানী সুহৃদ কুমার রায়।
১৯০৩- বাংলাদেশি কবি ও লেখক জসীম উদ্‌দীন।
১৯১১- বাংলাদেশি চিকিৎসক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
১৯৩৫- একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর।
১৯৪৪- বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং ২০ ও ২১তম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
১৯৫৬- বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

মৃত্যু
১৮৯৪- জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী হেনরিখ হার্টজ।
১৯২১- বাঙালি বাঙালি লেখক ও সাহিত্য সমালোচক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি।
১৯৯১- ভারতীয় বাঙালি সংগীতশিল্পী রেণুকা দাশগুপ্ত।
২০০৮- ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র।

দিবস
বই উৎসব (বাংলাদেশ)
নববর্ষ (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী)

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।