বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

কয়েকদিন আগেই ২৭ বছর বয়সী বিড়াল ‘স্যাম’ গিনেস রেকর্ড করেছে। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বয়স্ক বিড়াল স্যাম। তবে বয়স্ক কুকুরের রেকর্ড গড়লো ২২ বছর ৭৬ দিন বয়সী জিনো। তার আগে এই রেকর্ড ছিল ফ্লোরিডার চিহুয়াহুয়া প্রজাতির কুকুর টবি কেথির। তার বয়স ছিল ২১ বছর ৬৬ দিন।

পশু পাখির বিশ্ব রেকর্ড নতুন কিছু নয়। শরীরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কিংবা ক্ষমতার কারণে অন্যদের থেকে আলাদা তারা। এজন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসও তাদের বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি দেয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর জিনো।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই রেকর্ডটি করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জিনো উলফ। আ্যলেক্স উলফ নামের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র ২ বছর বয়সী জিনোকে দত্তক নিয়েছিলেন। তখনো তিনি জানতেন না জিনো একদিন গিনেস বুকে নাম লেখাবে। এখন জিনোর বয়স ২২ বছর। ২০ বছর ধরে অ্যালেক্সের সঙ্গে আছে জিনো। এরমধ্যে অ্যালেক্সও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়িয়েছেন।

অ্যালেক্স এখন ৪০ বছর বয়সী এবং তার জীবনের অর্ধেক জুড়ে আছে জিনো। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে জিনোকে রাখা একটু মুশকিল ছিল। তাই অ্যালেক্স জিনোকে লস অ্যাঞ্জেলেসে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে নিয়ে আসেন। স্নাতক শেষ হওয়ার পর আবার নিজের কাছে নিয়ে যান।

অ্যালেক্স উলফ মনে করেন, জিনোর দীর্ঘায়ুর পেছনে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার, চিকিৎসকের পরামর্শ আর যত্ন রয়েছে। দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার জন্য জিনোর আগ্রহকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। জিনোর প্রিয় খাবার ভাতের সঙ্গে মুরগির মাংস সিদ্ধ ও গাজর।

জিনো অন্যান্য কুকুরের মতোই খুব দুরন্ত। বাড়ির বাগানে খেলে বেড়ায়। তবে এখন বার্ধক্যের কারণে ঘুমায় বেশিরভাগ সময়। জিনো যেমন অ্যালেক্সের প্রিয়, তেমনি অ্যালেক্সও জিনোর খুব প্রিয়। একটু চোখের আড়াল হলেই অস্থির হয়ে ওঠে জিনো।

তবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর ছিল ব্লু। তার বয়স হয়েছিল ২৯ বছর ৫ দিন। অস্ট্রেলিয়ায় বাস ছিল ব্লুর। তার মৃত্যুর পর অন্যান্য অনেক কুকুর এই রেকর্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে তাদের বয়স ব্লুর কাছাকাছি যায়নি এখনো।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।