ক্ষুদিরামের জন্ম ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার। ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ক্ষুদিরাম বসু
১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মেদিনীপুরেই তার বিপ্লবী জীবনের অভিষেক। দুজন নারীকে হত্যা করার জন্য তার বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তার ফাঁসির আদেশ হয়। ফাঁসি হওয়ার সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর, ৭ মাস এবং ১১ দিন। ক্ষুদিরামকে নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা লিখেছিলেন এবং অনেক গানও তখন রচিত হয়েছিল। যেমন, 'একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি'। তার মৃত্যুর পর ব্রিটিশদের খুন করার জন্য তরুণরা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনা,বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী জুড়ে মানবিক মূল্যবোধের চরম সংকটময় মুহূর্ত তৈরি হয়। সেসময় যে কয়েকজন লেখকের হাত ধরে বাংলা সাহিত্যজগতে নতুন এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি। ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
ঘটনা
১৮১০- ব্রিটিশরা ফরাসিদের কাছ থেকে মৌরিতাস দখল করে নয়।
১৯৮৩- বাংলা ভাষায় প্রথম ‘ছোটদের অভিধান’ প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি।
১৯৮৪- ভারতের ভূপালে একটি মার্কিন কারখানা থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
১৯৯৯- বাংলাদেশে প্রথম নারী গ্রন্থমেলা ধানমন্ডি মহিলা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত।
২০০০- ইউক্রেনের কিয়েভে চেরনোবিল পারমাণবিক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজারেরও বেশি পঙ্গু শিশুর জন্য পেনশনের দাবি।
২০২০- সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন স্মরণে কলকাতার মাঝেরহাটে জয় হিন্দ সেতু নামে নতুন ব্রিজের উদ্বোধন হয়।
জন্ম
১৮৮২- খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু।
১৮৮৪- ভারতের বিখ্যাত দার্শনিক, রাজনীতিবিদ ও প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ।
১৯৩৫- বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী ও উদ্যোক্তা নিতুন কুণ্ডু।
১৯৭৬- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার মার্ক বাউচার।
মৃত্যু
১৯৩৮- বাঙালি দার্শনিক ও বহুবিদ্যাবিশারদ পণ্ডিত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল।
১৯৫৬- পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি লেখক সৈয়দ এমদাদ আলী।
১৯৮২- কবি ও প্রাবন্ধিক বিষ্ণু দে।
১৯৯৮- ইংরেজি সাহিত্যের দিকপাল শিক্ষক, শেক্সপিয়ার বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত।
১৯৯৯- বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান।
দিবস
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস।
কেএসকে/এমএস