৯ বছরে আক্কেল দাঁত, গিনেস বুকে নাম

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২

উইসডম টুথ বা আক্কেল দাঁত সম্পর্কে জানা আছে কমবেশি সবার। ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে চোয়ালের ওপরের ও নিচের দু'পাশের শেষাংশে দুটি করে মোট চারটি দাঁত ওঠে। এগুলোকেই বলা হয় আক্কেল দাঁত। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ৯ বছর বয়সী রায়ান স্কারপেলি এরই মধ্যে দুটি আক্কেল দাঁত অপসারণ করেছেন।

গিনেস বুকের তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ আক্কেল দাঁত অপসারণকারী ব্যক্তি রায়ান। ওই দিন তার বয়স ছিল ৯ বছর ৩২৭ দিন। রায়ানের আগে এই রেকর্ড ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাথিউ অ্যাডামসের। তখন তার বয়স ছিল ৯ বছর ৩৩৯ দিন। ২০০২ সালে ম্যাথিউ বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যার আক্কেল দাঁত উঠেছিল ৯ বছর বয়সে।

রায়ান স্কারপেলির রেকর্ড-ব্রেকিং আক্কেল দাঁত দুটি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভার্জিনিয়ায় মরগান অর্থোডন্টিক্সের ডা.কেলি মরগান প্রথম লক্ষ্য করেন। রেগুলার চেকাপের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন রায়ান। ডা.কেলি রায়ানের দাঁতের একটি থ্রিডি এক্সরে করান। সেখানেই ধরা পরে তার মুখের উপরের বাম চতুর্ভুজে একটি আক্কেল দাঁত এবং মোলার একে অপরের উপরে বেড়ে উঠছে।

রায়ানকে ওরাল সার্জন, পোটোম্যাক সার্জিক্যাল আর্টসের চিকিৎসক ক্রেগ ভিজিলান্টের কাছে রেফার করেন তিনি। ক্রেগ ভিজিলান্ট রায়ানের আক্কেল দাঁত দুটি অপসারণ করেন। কারণ তার অন্য দাঁতের বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন। ২০২১ সালের ২৭ জুলাই রায়ানের আক্কেল দাঁত দুটি অপসারণ করা হয়। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকেও মিলেছে স্বীকৃতি।

রায়ান দাঁত ওঠার পর কোনো ব্যথা অনুভব করেন নি। যেমনটা সাধারণত আক্কেল দাঁত ওঠার বেলায় অন্যদের হয়। তবে দাঁত অপসারণের পর কিছুটা ব্যথা অনুভব করেন। অপারেশনের পরের কয়েকদিন রায়ানকে শুধু নরম ও তরল খাবার খেতে হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল মিল্কশেক, জেলো, দই এবং আপেল সস।

অন্যদিকে আক্কেল দাঁত গজানোর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা রবার্ট ডব্লিউ গ্রে। তার বয়স ছিল ৯৪ বছর ২৫৩ দিন। ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সকালে দাঁত পরিষ্কার করার সময় একটি আক্কেল দাঁত আবিষ্কার করেছিলেন তিনি।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।