কামিনী রায়ের জন্ম ও উমাপ্রসাদের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৩ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

১২ অক্টোবর ২০২২, বুধবার। ২৭ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

কবি কামিনী রায়ের জন্ম
বাঙালি কবি, সমাজকর্মী ও লেখক কামিনী রায়। ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে জন্ম। ১২ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হন। বেথুন কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে ভারতের প্রথম নারী হিসেবে সংস্কৃত ভাষায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এখানেই স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে কবিতা লেখেন। রচিত কবিতাগুলোতে জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনার সহজ-সরল ও সাবলীল প্রকাশ ঘটেছে। ১৫ বছর বয়সে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ সালে। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আছে-আলো ও ছায়া, নির্মাল্য, পৌরাণিকী, মাল্য ও নির্মাল্য, দীপ ও ধূপ, জীবন পথে। ১৯২৯ সালে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান। ১৯৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মারা যান।

ভ্রমণ কাহিনিকার উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ
১৯০২ সালের ১২ অক্টোবর কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলের রসা রোডের বিখ্যাত মুখোপাধ্যায় পরিবারে জন্ম। সাত বছর বয়সে ভবানীপুর মিত্র ইন্স্টিটিউশনে শুরু হয় তার প্রথাগত শিক্ষাজীবন। প্রথম জীবনে উচ্চতম ন্যায়ালয়ের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে অধ্যপনা করেছেন দীর্ঘ ২০ বছর। ভ্রমণ এবং পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা নিয়েও বেশ উৎসাহী ছিলেন। বেঙ্গল লন টেনিস আসোশিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং নিজে একজন টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বই- মণিমহেশ, দুধওয়া, পঞ্চকেদার, ক্যালাইডেস্কোপ, জলযাত্রা, কাবেরী, কাহিনী, বৈষ্ণোদেবী ও অন্যান্য কাহিনী, আরবসাগরের তীরে ইত্যাদি। মণিমহেশ নামক ভ্রমণকাহিনির জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৭ সালের ১২ অক্টোবর মারা যান।

ঘটনা
১৯৬৮- ঘানা স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
১৯৭২- বাংলাদেশের সংবিধান সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপন হয়।
১৯৮৬- এল সালভেদারে ভূমিকম্পে ১ হাজার ৮০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯২- কলকাতায় প্রথম দক্ষিণ এশীয় উৎসব শুরু।
১৯৯৯- টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
২০০৮- রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়।

জন্ম
১৯০২- পর্বতপ্রেমী, পরিব্রাজক ও ভ্রমণ কাহিনিকার উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
১৯২৪- রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯২৭- চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক এহতেশাম।
১৯৫৫- বাংলাদেশি লেখক হরিশংকর জলদাস।

মৃত্যু
১৯২৪- ফরাসি কথাশিল্পী আনাতোল ফ্রাঁস।
১৯৮১- ভারতের পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ ড. গুরুপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
১৯৮৬- ভারতে আকুপাংচার চিকিৎসার সূচনাকারী ডা. বিজয় কুমার বসু।
১৯৯১- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়।

দিবস
বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।