আতাউল গণি ওসমানী ও নচিকেতার জন্ম

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার। ১৭ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা
১৬৪৪- ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইস ৭২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
১৮৫৩- উত্তমাশা অন্তরীপ থেকে পৃথিবীর প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু করা হয়।
১৯২৩- জাপানের টোকিও ও ইয়াকোহামায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই লাখ মানুষ নিহত হয়।
১৯৩৯- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে।
১৯৭৮- বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ বা বিএনপি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
১৯৮৫- ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার।

জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি সাহিত্যিক পরিমল গোস্বামী।
১৯১১- বাঙালি কথাসাহিত্যিক দেবেশ দাশ।
১৯১৪- সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক মৈত্রেয়ী দেবী।
১৯১৮- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। সিলেটের সুনামগঞ্জে জন্ম তার। পিতার চাকরির সূত্রে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। লেখাপড়ায় যে তিনি খুবই মনোযোগী ছিলেন, তার প্রমাণ হলো স্কুলের প্রত্যেক পরীক্ষায় তিনি প্রথম হতেন। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৩৯ সালে তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে। ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। তার স্মরণে ঢাকায় ‘ওসমানী উদ্যান’ ‘ওসমানী মেমোরিয়াল হল’ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া তার সিলেটস্থ বাসভবনকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। সিলেট শহরে তার নামে একটি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এমআইএসটি এর আবাসিক হল ‘ওসমানী হল’ কে তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।
১৯৩৫- বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার।
১৯৬২- বাংলাদেশি কবি, গায়ক এবং চিত্রশিল্পী কফিল আহমেদ।
১৯৬৫- ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক নচিকেতা চক্রবর্তী। কলকাতায় জন্ম হলেও পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালের ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন উত্তর কলকাতার মণীন্দ্র কলেজে। ছোটবেলা থেকেই গান লেখা শুরু, সেই সঙ্গে নিজের মতো করে গান চর্চা। প্রথম অ্যালবাম ‘এই বেশ ভালো আছি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে এবং প্রকাশ পাওয়া মাত্র অভাবনীয় সাড়া পড়ে যায়। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে- নীলাঞ্জনা, বৃদ্ধাশ্রম, ছোট ছোট স্বপ্নের দিন, একদিন ঝড় থেমে যাবে ইত্যাদি। বঙ্গভূষণ, সঙ্গীতভূষণ ইত্যাদি সরকারি-বেসরকারি অনেক সম্মান পেয়েছেন।

মৃত্যু
১৬৪৮- ফরাসি ধর্মযাজক, দার্শনিক, গণিতবিদ ও সংগীতজ্ঞ মারাঁ মের্সেন।
১৬৮৭- ইংরেজ দার্শনিক হেনরি মুর।
১৯৩০- বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী জীবন ঘোষাল।
১৯৭০- নোবেলজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া মরিয়াক।
২০০৪- সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি আহমেদ কুফতার।

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।