জন্মেই বিশ্বরেকর্ডের আশা ছাগলের!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ২২ জুন ২০২২

জন্মেই বিশ্বরেকর্ড করবে সিম্বা নামের একটি ছাগল। আশা করা যায়, পাকিস্তানে জন্মানো এই বাচ্চা ছাগল বিশ্বরেকর্ড করবে তার লম্বা কানের জন্য। ছাগলটির দুটি কানই ১৯ ইঞ্চি লম্বা। সিম্বাকে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমাচ্ছে মহম্মদ হাসান নারেজোর বাড়িতে।

বিরাট লম্বা কান নিয়ে জন্মানো ছাগলটির জন্য এরই মধ্যে বিশ্বরেকর্ডের আবেদন করা হয়েছে। যদিও এখনো গিনেস ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি মেলেনি তার। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির তাকে বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি দেবে গিনেস রেকর্ড কর্তৃপক্ষ।

সিম্বা নামের ছোট্ট ছাগলটি নুবিয়ান জাতের। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এই জাতের ছাগলের খামার আছে প্রায় প্রতিটি ঘরেই। পুষ্টিগুণের কারণে এদের দুধের দামও অনেক বেশি। এছাড়াও নুবিয়ান ছাগলের দুধ থেকে তৈরি ক্রিম, মাখন, আইসক্রিম জনপ্রিয় পাকিস্তানে।

jagonews24

তবে পাকিস্তানে সিন্ধ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি মেলে কামোরি প্রজাতির ছাগল। পাশাপাশি নুবিয়ান জাতের ছাগলও প্রতিপালিত হয় এখানে। পাকিস্তান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ছাগল উৎপাদনকারী দেশ।

নুবিয়ান হাতের ছাগলের শারীরিক গড়ন অন্যান্য আর দশ প্রজাতির ছাগলের মতোই। তবে সিন্ধ প্রদেশের নুবিয়ান ছাগলদের কান সাধারণত লম্বাই হয়। যেহেতু পাকিস্তানের ওই এলাকা অতি উষ্ণাঞ্চলের মধ্যে পড়ে, গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তাই লম্বা কানের সাহায্যে বিশেষ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় নুবিয়ান ছাগল শরীর ঠাণ্ডা রাখে, জানিয়েছেন প্রাণি বিজ্ঞানীরা।

jagonews24

তবে সেটা এতটা লম্বাও হয় না। যে কারণেই সিম্বাকে নিয়ে এত মাতামাতি এখন। ১৯ ইঞ্চি লম্বা কান নিয়ে জন্মেছে সিম্বা। বিষয়টি চমকে দেওয়ার মতোই। পৃথিবীতে এত লম্বা কানের ছাগল দ্বিতীয়টি নেই বলেই জানা গেছে। জিনের সমস্যার কারণেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে সিম্বার মালিকের আশা, খুব শিগগির তার প্রিয় পোষ্যের নাম উঠবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে।

এত লম্বা কানের কারণে সিম্বা যখন হাঁটে মাটিতে লুটোয় দুই কান। এর ফলে যাতে সে আঘাত না পায় তার জন্য সারাক্ষণ পোষ্যের খেয়াল রাখেন ছাগলের মালিক মহম্মদ হাসান নারেজো।

সূত্র: এনডিটিভি

কেএসকে/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।