সুফিয়া কামালের জন্ম ও কামাল লোহানীর প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫২ এএম, ২০ জুন ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

২০ জুন ২০২২, সোমবার। ৬ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা
৬৩৮- মসজিদ-এ নববীর প্রথম সম্প্রসারণ।
১৭০২- মুহাম্মদ বিন কাশিম সিন্ধু প্রদেশের রওয়ার আক্রমণ করেন এবং রাজা দাহির নিহত হন।
১৭৫৬- নবাব সিরাজদ্দৌলার বাহিনী একটি ব্রিটিশ গ্যারিসনের সেনাদের একটি বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ করে। সে ঘরে ১৪৬ জনের মধ্যে ১২৩ জন মারা যায়।
১৯৪৭- বঙ্গ আইন সভায় বাংলা ভাগের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

জন্ম
১৯০৯- লেখক ও রাজনীতিবিদ পূর্ণেন্দু দস্তিদার।
১৯১১- বাংলাদেশের প্রথিতযশা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সুফিয়া কামাল। বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িতে জন্ম তার। যে সময়ে তার জন্ম তখন বাঙালি মুসলিম নারীদের গৃহবন্দী জীবন কাটাতে হত। স্কুল-কলেজে পড়ার কোন সুযোগ তাদের ছিলো না। পরিবারে বাংলা ভাষার প্রবেশ একরকম নিষিদ্ধ ছিল। সেই বিরুদ্ধ পরিবেশে সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি। তিনি পারিবারিক নানা উত্থানপতনের মধ্যে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। সাহিত্যপাঠের পাশাপাশি সুফিয়া কামাল সাহিত্য রচনা শুরু করেন। ১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা 'বাসন্তী' সেসময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে প্রকাশিত হয়।

১৯২৩- প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক গৌরকিশোর ঘোষ।
১৯২৮- একজন মার্কিন অভিনেতা, অভিনয়ের কোচ, প্রযোজক ও সম্পাদকীয় কার্টুনিস্ট মার্টিন ল্যান্ডাউ।
১৯৪৯- খ্যাতনামা মার্কিন সংগীত শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, রেকর্ড প্রযোজক এবং অভিনেতা লিওনেল রিচি।

মৃত্যু
১৮৮৫- সংস্কৃত ভাষার সুপণ্ডিত তারানাথ তর্কবাচস্পতি।
১৯৪৩- দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা।
২০০০- বসন্ত চৌধুরী, বাঙালি যুক্তিবাদী সুপণ্ডিত চলচ্চিত্রাভিনেতা।
২০২০- বাংলাদেশি সাংবাদিক ও সাহিত্যজন, শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কামাল লোহানী। ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন তৎকালীন পাবনা জেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা) সনতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। তিনি কলকাতার শিশু বিদ্যাপীঠে পড়াশুনা শুরু করেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে পাবনায় চলে আসেন। ১৯৫২ সালে পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের সংবাদ বেতারে তিনিই প্রথম পাঠ করেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।

দিবস
বিশ্ব শরণার্থী দিবস

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।