অন্যদের ঘুম থেকে জাগানোই তাদের পেশা

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২২

জীবিকা নির্বাহ করতে নানা পেশায় যুক্ত হচ্ছেন মানুষ। কেউ করছেন চাকরি, কেউ বা করছেন ব্যবসা। তবে জানেন কি? এর বাইরেও মানুষ নানা পেশায় জড়িত। যেমন ধরুন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা। আপনার কাছে যেটা বিরক্তিকর সেই কাজটিই অনেকে করছেন পেশা হিসেবে। মাসে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা।

তেমনই আরও একটি মজার পেশা হচ্ছে অন্যদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলা। সকাল বেলা প্রিয় ঘুম ছেড়ে ওঠা খুবই কষ্টকর অনেকের জন্য। আর সময় মতো ঘুম থেকে উঠতে না পারায় ক্লাস কিংবা অফিসে প্রায়ই দেরি করে যাচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন বেতন কাটা যাচ্ছে আবার আপনার ইমেজও নষ্ট হচ্ছে সবার কাছে।

আপনার সেই কঠিন কাজকে সহজ করে দেবে কিছু মানুষ। যাদের কাজই হচ্ছে অন্যদের ঘুম থেকে জাগানো। এজন্য তারা বেতনও নেন মাস শেষে। এই পেশার নাম নকার আপ। ব্রিটেনে কিছু মানুষকে এমন চাকরিতে রাখা হত। এই চাকরি ছিল ৭০ এর দশক পর্যন্ত।

jagonews24

তখনো ঘড়িতে অ্যালার্ম তৈরি হয়নি। আর তাই নারী-পুরুষ উভয়েই ঘুম থেকে ডেকে তোলার কাজ করতেন তারা। তারা সকাল সকাল চলে আসতেন সেই সব বাড়িতে যারা সময়মত ঘুম থেকে উঠতে চাইতেন। বাড়িতে এসে তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে জানালা বা দরজায় আওয়াজ করতেন, যতক্ষণ না বড়ির মানুষের ঘুম ভাঙে। নয়তো বাঁশি বাজিয়েই যেতেন।

ঘুম ভাঙার পরই তাদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যেতো। এই কাজ যারা করতেন তারা সবাই টাকা পেতেন। তবে এখন আর এই পেশার কোনো অস্তিত্ব নেই। যুগের সঙ্গে যেমন হারিয়েছে ঘুম পাড়ানি গান শোনানো লোকগুলো ঠিক তেমনি হারিয়েছে ঘুম ভাঙানি লোকগুলোও।

jagonews24

নকার আপার্সরা মূলত শ্রমিকদের ঘুম ভাঙানোর কাজ করতেন। যারা শিফটিংয়ে কাজ করত। গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করার পর সকালে কাজে আসতে বেশিরভাগ শ্রমিকই দেরি করত। তাদের জন্যই শুরু হয়েছিল নকার আপ। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষও বেতন দিয়ে নকার আপার্স রাখতেন।

বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময় যখন ব্রিটেনে ঘড়ির সময় ১ ঘণ্টা এগিয়ে দিত। তখন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হত তাদের। সেসময় ভোর হতেই ঘুম ভাঙানি লোকেদের রাস্তায় দেখা যেত হাতে বড় লাঠি কিংবা বাঁশি নিয়ে একজনের বাড়ি থেকে অন্যজনের বাড়ি যেতে।

সূত্র: বিবিসি

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।