মরিচ খেয়ে ৪ বার বিশ্বরেকর্ড মাইকের

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২২

বাঙালি খাবার মানেই ঝাল মসলার এক রসনা। তবে শুধু বাঙালিই নয় বিশ্বের সব দেশেই খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার হয় মরিচের। কাচা-পাকা দুই অবস্থায়ই মরিচ খান সবাই। ঝাল খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। কান দিয়ে ধোঁয়া বের হওয়ার মতো ঝাল কিংবা ঝাল খেতে খেতে চোখ দিয়ে পানি পড়া। তাও থামান না খাওয়া।

এ তো গেলো সাধারণ মানুষের ঝাল খাওয়ার কথা। কিন্তু মরিচ খেয়ে যে বিশ্বরেকর্ড করা যায় তা জানেন কি? এজন্য ঝাল খাবার নয় সরাসরি মরিচ খেতে হবে আপনাকে। ২০২১ সালে সবচেয়ে দ্রুত এবং সবচেয়ে বেশি ঝাল খাওয়ার রেকর্ডটি করেন মাইক জ্যাক।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরের বাসিন্দা মাইক ৯ দশমিক ৭২ সেকেন্ডে তিনটি ঝাল মরিচ খেয়েছেন। এত অল্প সময়ে তিনটি ক্যারোলিনা রিপার মরিচ খেয়ে জ্যাক গিনেস বুকে চতুর্থবারের মতো নাম লিখিয়েছেন।

jagonews24

চতুর্থবারের মতো জ্যাকের বিশ্ব রেকর্ড গড়ার বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। তবে তার রেকর্ড গড়ার তারিখ ছিল ২১ নভেম্বর, ২০২০।

জ্যাক ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ঝাল মরিচ খাওয়ার প্রথম রেকর্ডটি ভেঙেছিলেন। তিনি তিনটি ভুট জোলোকিয়া মরিচ দ্রুততম সময়ে খেয়েছিলেন। তখন সময় নিয়েছেলেন ৯ দশমিক ৭৫ সেকেন্ড। তার দ্বিতীয় রেকর্ড ছিল এক মিনিটে ৯৭ গ্রাম ভুট জোলোকিয়া মরিচ খাওয়ার। ২০১৯ সালের ২ মার্চ রেকর্ডটি করেন তিনি। ২০২০ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্যাক দুই মিনিটে আরও বেশি ভুট জোলোকিয়া মরিচ খেয়ে তৃতীয় রেকর্ডটি করেন।

গিনেস বুক ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল মরিচ হিসেবে ক্যারোলিনা রিপারকে স্বীকৃতি দেয়। ক্যারোলিনা রিপার মরিচ গড়ে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন স্কোভিল হিট ইউনিট (এসএইচইউ) উৎপন্ন করে। ১৯১২ সালে মরিচের ঝাল পরিমাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রসায়নবিদ উইলবার স্কোভিল এসএইচইউ স্কেল উদ্ভাবন করেন।

গিনেস কর্তৃপক্ষের মতে, ভুট জোলোকিয়া মরিচ এসএইচইউয়ের পরিমাণ ৮ লাখের বেশি, যা ভারতীয় সেনারা তাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে কাবু করতে হ্যান্ড গ্রেনেডের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেন।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।