টানা পাঁচদিন টয়লেটে বসে থেকে বিশ্বরেকর্ড
টয়লেটে প্রয়োজনীয় কাজ সারতেই যান সবাই। তবে অনেকে আছেন একান্ত সময় কাটাতে টয়লেটকেই বেছে নেন। গান গাওয়া থেকে শুরু করে সকালের পত্রিকা পড়ার কাজটুকুও এখানে বসেই সেরে নেন। তবে তা কতক্ষণ আর হবে, বড়জোর আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট।
কখনো শুনেছেন কাউকে যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুধু নয় দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন টয়লেটে। তবে শখের বশে নয় রেকর্ড গড়তেই এমন অদ্ভুত কাজ করেছেন এক ব্যক্তি। বেলজিয়ামের বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সী জিমি ডে ফ্রেনেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
তিনি পেশায় একজন বাস চালক। টয়লেটে টানা ১৬৫ ঘণ্টা টয়লেটে বসে রেকর্ড গড়ার ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু ১১৬ ঘণ্টা বা ৫ দিন টয়লেটে কাটানোর পর নিজেই ক্ষান্ত দেন। গিনেস বুকেও নিজের নাম অন্তভুর্ক্ত করেছেন এই ফাঁকে।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জিমি বলেন, নিজেকে নিয়ে মজা করতেই এমনটা করেছেন। অন্যদের যেমন আনন্দ দিতে পেরেছেন তেমনি নিজেও বেশ আনন্দ পেয়েছেন। বসে থাকতে থাকতে জিমি যাতে বিরক্ত না হয়ে যান এজন্য স্টেনের ফিলিপস প্লেস বার খুলে দেওয়া হয়েছিল, যাতে জিমি তার বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
এ ছাড়াও জিমিকে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ মিনিটের জন্য ঘুমানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। টয়লেটে বসেও তিনি টয়লেট করতে পারতেন না। কারণ, তাতে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল না। তাই টয়লেট পেলে উঠতে পারতেন তিনি।
টয়লেটে এভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা মোটেও সহজ কাজ ছিলো না। বসে থাকতে থাকতে জিমির পা ব্যথা করছিল। ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন খুব। তবে রেকর্ড গড়ার চেষ্টায় অবিচল ছিলেন তিনি। জিমির আগে এক ব্যক্তি ১০০ ঘণ্টা টয়লেটে বসেছিলেন। সেখানে জিমি ছিলেন ১১৬ ঘণ্টা।
সূত্র: রয়টার্স
কেএসকে/জিকেএস