বিয়ে নিয়ে দেশে দেশে অদ্ভুত যত রীতি

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

বিয়ে সবার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। শুধু বর কনেই নয় দুটি পরিবারের মিল বন্ধনের মাধ্যম বিয়ে। তবে এই দিনটিকে নিয়ে বিশ্বের নানা দেশে রয়েছে নানান রীতিনীতি, যা নতুন দম্পতির জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে বলেই মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি কোথাও নেই।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই অদ্ভুত কিছু রীতিনীতির ব্যাপারে

বিয়ের আগে বর-কনের মুখ দেখা নিষেধ
এই কুসংস্কারের উৎপত্তি কবে থেকে তার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে ভারতীয় বিয়ে রীতিতে এটি খুবই প্রচলিত। বিশ্বাস অনুসারে, দম্পতি যদি একে অপরকে আগে দেখে থাকেন তবে তারা বিয়ের বিষয়ে তাদের মন পরিবর্তন করার সময় পাবে।

jagonews24

বিয়ের দিনে বৃষ্টি
অনেকেই মনে করেন বিয়ের দিনে বৃষ্টি খুবই শুভ। যদি আপনার বিয়ের দিনে বৃষ্টি হয় তবে এটি স্বর্গ থেকে আসা আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।

উপহার হিসেবে ছুরি
অনেকে নব দম্পতিকে কাটলারি সেট উপহার দেন। কিন্তু বলা হয় যে আপনি যদি এতে ছুরি রাখেন তবে আপনাকে দম্পতির কাছ থেকে একটি পয়সা নিতে হবে। উপহার হিসেবে একটি ছুরি তাদের দুর্ভাগ্য কামনা করছে। সুতরাং একটি পয়সা বিনিময় মানে তারা নিজেরাই এটি কিনেছে।

কনেকে বহন করা
অনেক ঐতিহ্যে আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, বাড়ির চৌকাঠ অতিক্রম করার সময় কনেকে বর তার বাহুতে বহন করে। এই প্রথাটি পালন করা হয় অনেক দেশেই। কারণ বিশ্বাস অনুসারে, কনেরা অশুভ আত্মার জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে যখন তারা নতুন একটি জীবনে পা রাখছেন।

jagonews24

কান্নাকাটি
বিয়ের সময় কনেকে কাঁদতে দেখা যায়। কারণ তারা তাদের বাবা-মা এবং পরিবার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নতুন এক পরিবেশে। তবে অনেক দেশেই কান্না একটি ঐতিহ্য, যা কনের জন্য সৌভাগ্য হিসেবে গণ্য হয়।

গ্লাভসে চিনির কিউব রাখা
খ্রিস্টান বিয়ে রীতিতে নববধূরা গ্লাভস পরেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয় যেখানে নববধূকে গ্লাভসে একটি চিনির কিউব রাখাতে হয়। গ্রিকদের মতে, সেই চিনি একসঙ্গে দম্পতির জীবনকে মধুর করে তুলবে।

নববধূকে চিমটি কাটা
মিশরীয় সংস্কৃতি অনুসারে, নারীরা সৌভাগ্যের জন্য তার বিয়ের দিনে কনেকে চিমটি কাটে।

সূত্র: টাইম অব ইন্ডিয়া

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।