যে কারণে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে শিশুশ্রম
আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশুশ্রমের অবসান।’ প্রতি বছর ১২ জুন শিশু শ্রম বন্ধ করার সচেতনতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়।
বাংলাদেশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউনিসেফসহ বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে এ দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে।
২০১৯ সালে জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম নিরসন বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। আইএলও ১৯৯২ সালে প্রথম শিশু শ্রমের জন্য প্রতিরোধ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী, ২০০২ সালের ১২ জুন থেকে আইএলও বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রতিবছর ‘শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে।
২০২১ সালে পরিসংখ্যান বেশ উদ্বেগজনক। বিগত ২০ বছর পর এবার শিশুশ্রমের চিত্র আরও বেড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ইউনিসেফ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রমিকে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ মিলিয়নে। বিগত ৪ বছরের তুলনায় ৮.৪ মিলিয়ন শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে।
করোনা মহামারীর কারণে অনেক অভিভাবকই দরিদ্র হয়ে ঘরের শিশুকে বিভিন্ন কাজে লাগিয়েছেন। পেটের দায়ে অনেক শিশুরাই ঝুঁকিপূর্ণ সব পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে এবারের শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের উপপাদ্য হলো-‘এখনই আইন করুন: শিশুশ্রম শেষ করুন।’
বাংলাদেশের মতোই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। শিশুশ্রম বিরোধী কর্মতৎপরতার পরও শিশুশ্রম বন্ধ হয়নি। পেটের ক্ষুধা নিবারণে এমনকি পরিবারের দেখাশুনার দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে অনেক শিশুরাই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিযুক্ত হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে ৮৪ মিলিয়ন শিশুশ্রমের সঙ্গে যুক্ত। শিশুশ্রমের দিক দিয়ে আফ্রিকা ও এশিয়া বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। আফ্রিকা এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে ৯ জনই শিশুশ্রমের জড়িত।
আমেরিকায় (১১ মিলিয়ন), ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া (৬ মিলিয়ন) এবং আরব রাজ্যগুলোতে (১ মিলিয়ন) শিশু শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত। স্বল্প-আয়ের দেশগুলোতে শিশুশ্রমিকদের পরিমাণ সর্বাধিক হলেও, মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে তাদের সংখ্যা আসলে বেশি।
জেএমএস/এএসএম