আত্মবিশ্বাস বাড়াতে দেয়ালজুড়ে বাহারি চিত্র
ইমন ইসলাম
নতুনত্বের ছোঁয়ায় সব কিছু সুন্দর ও আনন্দময় হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ নতুন রঙে, নতুন রূপে সেজেছে। নতুনত্বের ছোঁয়ায় বিভাগের আঙিনা হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অন্যতম আকর্ষণ হলো এখানকার দেয়ালিচত্র ও কারুশিল্পীরা। রং তুলির আঁচড়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে কারুশিল্পীদের হাতে আঁকা চিত্রকর্ম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের চতুর্থ তলায় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের অবস্থান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বেশ উদ্যমের সাথে এগিয়ে চলেছে। এ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সৌন্দর্যপ্রেমীও বটে।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রায় সবাই একদিকে যেমন সংস্কৃতিমনা সেইসঙ্গে চিত্রকর্মের প্রতিও আগ্রহী। বিভাগের প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী নান্দনিকও বটে। বছরের বর্ষবরণ, নবান্ন উৎসবে রং তুলির আঁচড়ে বাহারি রঙের আলপনা, দেয়ালচিত্র, কারুকাজ করেন তারা।
সম্প্রতি বিভাগের সৌন্দর্য বর্ধনে দেয়ালে দেয়ালে বাহারি রঙের দেয়ালচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। যা বিভাগের সৌন্দর্যকে শতগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। নতুন কলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে বিভাগে ওঠার সিঁড়ির দেয়ালগুলো বিভিন্ন রং তুলির আঁচড়ে ছেয়ে গেছে। যা এনে দিয়েছে নতুন রূপ, নতুন মাত্রা।
গণমাধ্যমে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসগুলোকে রং তুলির আঁচড়ে বিভাগের দেয়ালে অঙ্কন করা হয়েছে। লাল ইটের দেয়ালগুলোতে যেন জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। চিত্র কর্মগুলো অনবদ্য এবং প্রশংসার দাবিদার।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ‘আমরা আমাদের বিভাগ ও বিভাগের দেয়ালগুলোতে একাডেমিক বিষয়গুলোই চিত্রকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমরা মূলত সাংবাদিকতার সাথে আধুনিক প্রযুক্তির যে বিবর্তন; সেই বিষয়গুলোকেই বিভাগের দেয়ালে রং তুলির আঁচড়ে প্রকাশ করেছি। এতে বিভাগের সব সদস্য যেমন দেখতে পাবে ও শিখতে পারবে সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী এমনকি পর্যটকরাও আমাদের বিভাগ সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর থাকলে শিক্ষার্থীরাও আনন্দ পাবে। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এমন বিশ্বাস থেকেই বিভাগের একাডেমিক কমিটির অনুমতি নিয়ে সবার সহযোগিতায় এ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। আমাদের সাধ আছে, সাধ্য নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে সভাপতি হিসেবে আমার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
এসইউ/এএসএম