শীতকালে গুড় খাওয়ার বিস্ময়কর কারণ!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২০

প্রকৃতিতে একটু একটু করে শীত অনুভূত হচ্ছে। এমন সময়ে খেজুরের রস আর গুড়ের আগাম আমেজ তৈরি হচ্ছে মানুষের ভেতর। তাছাড়া খেজুর গুড়ের পিঠা-পায়েসের আগাম প্রস্তুতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলের খাদ্যসংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এটি। তবে খেজুরের গুড়ের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক জার্নাল অব আয়ুর্বেদ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা এবং ওষুধের জন্য খেজুর গুড়ের ব্যবহার জরুরি। প্রাচীনকাল থেকেই এটি হয়ে আসছে। গুড় একটি প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর মিষ্টি হিসাবে নয়, এতে অনেক খনিজ উপাদানও রয়েছে বলে মনে করা হয়।

গুড় আসলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ। এমনকি জিংক, তামা, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনের ট্রেস রয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, গুড়ে ভিটামিন বি, উদ্ভিদ প্রোটিন, ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে শীতকালে গুড় খাওয়ার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে।

ডায়েটের সাথে গুড়কে অন্তর্ভুক্ত করে নিচের কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন। তা হলো–

হজমশক্তি বাড়াতে: খাবারের পর মিষ্টি খাওয়ার প্রচলন আছে। তাই মিষ্টি হিসাবে গুড় খাওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কারণ এটি পাকস্থলী উদ্দীপিত করে এবং হজম এনজাইমগুলোর মুক্তিতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্য হজমজনিত সমস্যায় গুড় খুবই উপকারী।

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে: গুড়ে আয়রন এবং ফসফরাস জাতীয় খনিজ রয়েছে। যা দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। লোহিত খাদ্যে লোহা বা লোহার অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা লোকের জন্য গুড় খাওয়া একটি কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: গুড় পুষ্টিতে ভরপুর। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত বা অস্বাস্থ্যকর পদার্থ বা ডিটক্স থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে। এমনকি রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য খুবই জরুরি। শীতকালে গুড় বেশি খাওয়ার কারণ এটি। যা ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্য রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে।

ওজন ও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ: গুড় হচ্ছে সাদা চিনির বিকল্প। কেননা গুড় ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভব থেকে বিরত রাখতে পারে। যা আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।

শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি: চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে গুড়কে নেওয়া হয় এবং শীতে তা প্রচুর উপকারী। শীতে গুড় খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি করে, যা দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখে।

সালমান/এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।