জামদানি বিক্রি করে লাখপতি তানিয়া সুলতানা
করোনার অবসর কাজে লাগাতে দেশের অসংখ্য নারী ইতোমধ্যে অনলাইন ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। অন্যান্য ব্যবসার মতো সফলতা হাতছানি দিচ্ছে এসব নারীকে। দেশে অনলাইন ব্যবসা চালু হওয়ায় মানুষকে কষ্ট করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে মার্কেটে যেতে হচ্ছে না। এ মাধ্যমে সফলতা পেয়ে উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন তারা। তেমনই একজন উদ্যোক্তা তানিয়া সুলতানা। তার সফলতার গল্প শোনাচ্ছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত—
একজন সংগ্রামী সফল নারী উদ্যোক্তা, বিরাজবৌ’র সত্ত্বাধিকারী তানিয়া সুলতানা। ময়মনসিংহের গৃহবধূ তানিয়া স্বামী-সন্তান সামলে অনলাইন পেজ ‘বিরাজবৌ’র মাধ্যমে বিক্রি করেন জামদানি শাড়ি। নিজস্ব কারিগর দ্বারা তৈরি করা শাড়িগুলোর মূল্য ৩,৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৮ হাজার টাকা।
শাড়িগুলো ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে ইএমআই সুবিধার মাধ্যমেও বিক্রি করেন। মাত্র ১৮ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন এ অনলাইন ব্যবসা। বর্তমানে তার মোট বিক্রির পরিমাণ ৪ লাখ ৮ হাজার ৭শ টাকা।
উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শুনতে চাইলে তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো ব্যবসা করার। কিন্তু কী করবো ভেবে পাইনি। শেষে ই-কমার্স গ্রুপ উই’র মাধ্যমে লক্ষ্য স্থির করি। আসলে শুরু করাটাই ছিলো চ্যালেঞ্জিং। কিভাবে শুরু করবো, কী পণ্য নিয়ে কাজ করবো- লক্ষ্য স্থির করতে পারছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘অবশেষে ভাবলাম জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ করবো। সে লক্ষ্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘বিরাজবৌ’র চরিত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে ওই নামে ফেসবুক পেজ খুলি। সেখান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্যের অর্ডার নিয়ে তা কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দেই।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনলাইনেই ব্যবসা করার। আমি ট্রেড লাইসেন্সও করেছি অনলাইন ব্যবসার পরিচয় দিয়ে। অনেকের স্বপ্নের শোরুমকে দুঃস্বপ্ন হতে দেখেছি। তাই ওয়েবসাইট খুলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জামদানি শাড়ি ছড়িয়ে দিতে চাই। এতে আমার স্বপ্নও ছড়িয়ে যাবে।’
সফল এ নারী উদ্যোক্তা জানান, তার এসব সফলতার পেছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম, আনন্দ ও সুখের অনেক কাব্য।
লেখক: শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু কলেজ, ঢাকা।
এসইউ/এএ/এমএস