মহাসড়কে সৌরভ ছড়াচ্ছে বিভাজকের ফুল

শিহাব খান
শিহাব খান শিহাব খান , উপজেলা প্রতিনিধি শ্রীপুর (গাজীপুর)
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ২৮ জুন ২০২০

ফুল সবাই ভালোবাসে। যদি সেই ফুলের সৌরভে সুরভিত হয়ে নান্দনিক সৌন্দর্যে চোখ বুলিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া যায়, তাহলে তো কথা-ই নেই। দীর্ঘ ৮৭ কিলোমিটার জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করা যাত্রীরা এখন প্রতিনিয়ত ফুলের সমারোহে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে যাতায়াত করছেন।

বর্ষাকে স্বাগত জানিয়ে লাল, নীল, হলুদ, বেগুণি, সাদা ফুলে ব্যস্ততম সড়কটি বর্ণিল সাজে সেজেছে এখন। বকুলের ভালোবাসা, গন্ধরাজ, বেলী ও কামিনীর উতাল করা ঘ্রাণে যাত্রীদের মধ্যে বয়ে দিয়ে যাচ্ছে এক অন্যরকম অনুভূতির আবেশ।

জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সড়ক বিভাজকের উপর রোপণ করা হয়েছিল ৪০ প্রজাতির লক্ষাধিক উদ্ভিদ। এরমধ্যে রয়েছে নীল কাঞ্চন, কামিনী, কৃষ্ণচূড়া, জোগাটগর, রাধাঁচূড়া, অগ্নিস্বর, পলাশ, গৌরিচূড়া, ছাতিম, কনকচাঁপা, কদম, কাঠবাদাম, জারুল ও রক্তকরবী।

cover1

এ ছাড়াও ওষুধি গাছ হিসেবে রয়েছে নিমগাছ। মহাসড়কে ভ্রমণ আনন্দদায়ক ও পরিবেশবান্ধব করতে ঋতুর সাথে মিল রেখে এসব উদ্ভিদ রোপণ করা হয়েছে। বছরজুড়েই এ মহাসড়কের বিভাজকের উপর লাগানো গাছগুলো সৌন্দর্য বা ছায়া দিলেও বর্ষায় নয়নাভিরাম পরিবেশে ভিন্ন আবহ তৈরি হয়।

মহাসড়কে চলাচলকারী আলম এশিয়া পরিবহনের চালক অনিক মিয়া বলেন, ‘ব্যস্ত রাজধানী ছেড়ে যখন সবুজের সমারোহে গাড়ি চালাই; তখন যেন মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাই। বর্ষার নানা ধরনের ফুলের সৌরভ গাড়ির ভেতরও ছড়িয়ে যায়। এতে যাত্রীরাও পুলকিত হয়ে পড়ে।

cover1

গাজীপুরের সমাজকর্মী শাফি কামাল দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রায় ১৬ ফুট সড়ক বিভাজকের উপর লাগানো গাছগুলো প্রকৃতিকে অলঙ্কৃত করেছে। তবে এ মহাসড়কের কয়েক অংশে বর্জ্য অপসারণ করায় এমন সৌন্দর্যও বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।’

গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব মহাসড়ক, নিরাপদ ও আনন্দদায়ক যাত্রার নিশ্চয়তা দিতে সড়ক বিভাজকের উপর গাছগুলো লাগানো হয়েছে। তাই তো সবুজের সমারোহে ফুলের ঘ্রাণে অভিভূত হয়ে পড়ে যাত্রীরা।’

এসইউ/এএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।