২৫০ জনকে কামড়ে কারাগারে মাতাল হনুমান!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ১৭ জুন ২০২০

বিপদে-আপদে হিন্দুরা হনুমানকে স্মরণ করে। কিন্তু সেই হনুমানই হলো বিপদের কারণ। ভারতের কানপুরে এক হনুমানের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়েছিল বাসিন্দারা। হনুমানটি প্রায় ২৫০ জনকে কামড়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছিল। পরে সেই তাণ্ডব ঠেকাতে তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা যায়, ভারতের উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর জেলার ঘটনা এটি। বছর তিনেক আগে এই হনুমান এলাকায় ভীতি ছড়িয়েছিল। স্থানীয়রা তার নাম দিয়েছিল ‘কালুয়া’। এলাকার মোট ২৫০ জনকে কামড়ে দিয়েছিল সে। যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানায়, এসবের জন্য শুধু হনুমানকে দোষারোপ করলেই হবে না। তার জন্য দায়ী অবশ্য মানুষও। কারণ এর নেপথ্যে রয়েছে মানুষের কুকীর্তি। হনুমানটি এক তান্ত্রিকের পোষ্য ছিল। যিনি নিয়মিত হনুমানকে মদ খাওয়াতেন। ফলে দিন দিন মদ্যপান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল কালুয়া।

সূত্র আরও জানায়, ওই তান্ত্রিক বেঁচে থাকাকালীন প্রতিদিনই মদের নেশায় মাতাল হয়ে থাকত কালুয়া। তবে কারও কোনো ক্ষতি করত না। কিন্তু তান্ত্রিক মারা যাওয়ার পরই বদলে যায় হনুমানটা। মদ না পেয়ে হিংস্র হয়ে ওঠে। তারপর থেকেই মানুষকে কামড়াতে শুরু করে।

cover-(1).jpg

ভুক্তভোগীরা জানায়, দিনে-দুপুরে হনুমানটিকে দেখলেই বুকের ভেতর কেমন করে উঠত। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরিস্থিতি এভাবে হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে এগিয়ে আসে বন দফতর ও স্থানীয় চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা। অনেক কষ্টে তাকে ধরে রাখা হয় কানপুর চিড়িয়াখানার খাঁচার ভেতর।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, খাঁচাবন্দি অবস্থায়ই হনুমানটিকে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কালুয়া বন্দি হয়েও বদলায় না। আগের মতোই আচরণ করতে থাকে। অস্থির করে রাখে চিড়িয়াখানা। খাঁচার মধ্যেই চিৎকার-লাফালাফি চলতে থাকে।

চিড়িয়াখানার চিকিৎসক মোহাম্মদ নাসির বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে হনুমানটিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কিন্তু স্বভাবে এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই হিংস্র রয়ে গেছে। তিন বছরেও আচরণে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই সারাজীবন ওটাকে কারাগারেই রেখে দেওয়া হবে।’

সংবাদ প্রতিদিন/এসইউ/এএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।