আইসোলেশন কক্ষে যা যা থাকা জরুরি

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১৬ মে ২০২০

করোনাভাইরাস বিশ্বকে আমূল পাল্টে দিচ্ছে। এর আগে এমন কোনো রোগ পৃথিবীতে আসেনি, যে রোগের জন্য মানুষকে এতটা আত্মকেন্দ্রিক হতে হয়েছে। করোনাভাইরাস ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ নীতিতে চলতে বাধ্য করছে। তাই তো নিরাপদ দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশনের মতো পর্যায় অতিক্রম করতে হচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানান, কারো মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করলে বা তার মধ্যে উপসর্গ থাকলে; তখন ওই ব্যক্তিকে আলাদা রেখে চিকিৎসা দিতে হয়। সেটাকেই বলা হয় আইসোলেশন। তবে এ আইসোলেশন নিজের বাসাও হতে পারে। এছাড়া সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগ নির্ধারিত কোনো কক্ষও হতে পারে।

isoletion

তবে মৃদু উপসর্গ আছে এমন বেশিরভাগ রোগীকে বাড়িতে আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব। এভাবে চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠছেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে আইসোলেশন কক্ষের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিশেষ করে বাড়িতে আইসোলেশনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে কিছু উদ্যোগ নিতে হবে-
১. বাসার একটি কক্ষ রোগীর জন্য আলাদা করতে হবে। কক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত টয়লেট থাকতে হবে।
২. কক্ষে সবচেয়ে বেশি জানালা অর্থাৎ আলো-বাতাস নিশ্চিত করতে হবে।
৩. পুরো বাড়িসহ কক্ষটিও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
৪. কক্ষ থেকে বাড়তি আসবাবপত্র ও কার্পেট ইত্যাদি সরিয়ে ফেলুন।
৫. কক্ষের দরজা খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ করেই রাখতে হবে।
৬. ‘নেগেটিভ বাতাসের প্রবাহ’ তৈরি করতে একজস্ট ফ্যান বা স্ট্যান্ড ফ্যান দিলে ভালো হয়।
৭. আলাদা কক্ষ না থাকলে নিজেদের কক্ষেই জানালার কাছে পর্দা দিয়ে আলাদা স্থান তৈরি করুন।

cover-and-in-(1)

৮. রোগীর বিছানার চারপাশে যথেষ্ট অর্থাৎ কমপক্ষে ৩ ফুট জায়গা হলে ভালো।
৯. বিছানার পাশে রোগীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য ছোট একটি টেবিল রাখুন।
১০. রোগী নিজেই প্রতিদিন কয়েকবার জীবাণুনাশক তরল দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করবেন।
১১. রোগীর বাথরুম থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন।
১২. রোগীর বাথরুম বাড়ির আর কারও ব্যবহার না করাই ভালো।
১৩. রোগী নিজের জামা-কাপড় ও টয়লেট নিজেই ধুয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
১৪. রোগীর ময়লা-আবর্জনা ফেলতে ঢাকনাসহ বিন বিছানার কাছেই রাখুন।
১৫. একটি পলিথিনে রোগী নিজেই তার ব্যবহৃত ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন।
১৬. ডাস্টবিনটি প্রতিদিন অন্য কেউ গ্লাভস পরে কক্ষের বাইরে নিয়ে যাবেন।
১৭. রোগীর ময়লা-আবর্জনা বাড়ির বাইরে কোথাও পুড়িয়ে ফেললে সবচেয়ে ভালো হয়।
১৮. অসুস্থ ব্যক্তি এবং সেবাদানকারী সবাই মাস্ক পরবেন।
১৯. রোগীর থাকার জায়গার ভেতরে পরিচর্যাকারী ছাড়া আর কেউ যাবেন না।

isoletion

২০. আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেট, গ্লাস, চামচ ও অন্যান্য তৈজসপত্র সম্পূর্ণ আলাদা থাকবে।
২১. ব্যবহারের পর গ্লাভস পরে ভালোভাবে সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করে আলাদা রাখতে হবে।
২২. রোগীর কক্ষ ও হাঁটা-চলার পথ প্রতিদিন দু’একবার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
২৩. শিশুদের নির্ধারিত জায়গায় খেলা ও সৃজনশীল কাজের ব্যবস্থা করুন।
২৪. রোগী থেকে বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দূরে রাখুন।
২৫. রোগী দূরে থাকলে পরিবারের সদস্যদের মানসিক সুস্থতার কথা ভাবুন।
২৬. হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকলে মুঠোফোন বা অনলাইনে সবাই যোগাযোগ রাখুন।
২৭. রোগীকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার চেষ্টা করুন।
২৮. হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিশ্চিত করুন।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।