করোনাভাইরাস : কী করবেন, কী করবেন না
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ছাড়া বাকি সব মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশসহ ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এর কালো থাবা বিস্তৃত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৫ জন মারা গেছেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রথমে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের মাঝে এর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেলেও পরবর্তীতে তাদের সংস্পর্শে আসা অন্য ব্যক্তিও সংক্রমিত হয়েছেন। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আরও দ্রুত ও ভয়ঙ্কররূপে ছড়িয়ে পড়বে। এ বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজন যথাযথ সচেতনতা।
সংক্রমণ প্রতিরোধে কী করা উচিত:
১. কিছুদিনের জন্য নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। অপ্রয়োজনীয় জনসমাবেশ বা গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন।
২. বাইরে থেকে ফিরে, বাইরে যাওয়ার আগে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর, হ্যান্ডশেক করার পর, কোনো প্লাস্টিক বা ধাতবদ্রব্য কিংবা বহু মানুষের স্পর্শ লাগে এমন কোনো কিছু (লিফট, সুইচ, দরজার হ্যান্ডেল ইত্যাদি) ধরার পর ভালো করে সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, অথবা ৭০% বা এর বেশি অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ডরাব ব্যবহার করে অন্তত ৩০ সেকেন্ড যাবত হাত ও মুখ ভালো করে পরিষ্কার করবেন।
৩. বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সবসময় সার্জিকাল ফেস মাস্ক বা পিএম ২.৫ মাস্ক ব্যবহার করুন। সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি অসুস্থতা অনুভব করলে বাড়িতে অবস্থানকালেও এসব মাস্ক পরিধান করুন।
৪. হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু পেপার বা রুমাল ব্যবহার করুন। তাৎক্ষণিক টিস্যু পেপার বা রুমাল না থাকলে হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় হাতের তালু ব্যবহার না করে হাতের কনুই ব্যবহার করুন। রুমাল বা টিস্যু পেপার পরে ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে যথাযথভাবে ফেলুন।
৫. দেশের ভেতরে বা দেশের বাইরে কোনো ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে তা আপাতত ত্যাগ করুন। অনিবার্য কারণে ভ্রমণ পরিত্যাগ সম্ভব না হলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৬. বয়স্ক কিংবা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নিন ও তাদের যথাযথ খেয়াল রাখুন।
৭. নিয়মিত ভিটামিন সি, জিঙ্ক ইত্যাদি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং তা নিয়মমাফিক মেনে চলুন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে কী করা উচিত নয়: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যে কাজগুলো করা ঠিক নয়-
১. যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না।
২. অযথা অপ্রয়োজনে বাইরে ঘুরাঘুরি করবেন না।
৩. সরসারি কারো মুখের উপর হাঁচি-কাশি দিবেন না।
৪. ব্যবহারকৃত মাস্ক, টিস্যু পেপার, রুমাল যেখানে-সেখানে ফেলে রাখবেন না।
৫. কোন ধরনের গুজবে কান দিবেন না এবং অযথা আতঙ্কিত হবেন না।
৬. ঠান্ডা লেগেছে বা জ্বরের লক্ষণ আছে-এমন কারো সংস্পর্শে যাবেন না।
৭. অযথা হাত দিয়ে মুখ, নাক, চোখ স্পর্শ করবেন না।
এসইউ/পিআর