আপনজনের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ফেরি করে বই বিক্রি
ড. আকন্দ সামসুন নাহার সরকারি কলেজের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। প্রায় ২০ বছর আগে অবসর নিয়েছেন বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে। কিন্তু এখনো কর্মজীবন থেকে অবসর নেননি বা নিতে পারেননি! শিক্ষকতা করেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন।
গত পরশু (সোমবার) সন্ধ্যায় একুশে বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে তার সাথে দেখা। নিজের বই নিজেই ফেরি করে বিক্রি করছেন। আমাদের মুখোমুখি হতেই নরম করে হাতে রাখা একখানা বই সামনে এগিয়ে ধরলেন। আমিও হাত বাড়িয়ে নিলাম।
পাতা উল্টাতে উল্টাতে বিভিন্ন আলাপ বিনিময়। ফেরি করার কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘স্টলে বই আছে কিন্তু বিক্রি-বাট্টা হয় না বিশেষ। তাই নিজেই ‘ডোর টু ডোর’ ফেরি করে বেড়াচ্ছি। এক আপনজন (রোগী) আছে, যার জন্য দ্রুত ভালো পরিমাণ টাকা প্রয়োজন।’
শুনে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় মনটা গলে গেল। আমি আর আমার ফটোগ্রাফার বন্ধু মুনিম ইকবাল দু’জনে দুটো বই নিলাম। তারপর বলতেই আমাদের সাথে ছবি তুলতে রাজি হয়ে গেলেন। তার সাথে ছবি তুলতে তুলতে জীবন ও পরিবার ইত্যাদি বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলাপ হলো।
উনি স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় নিজের কথা বললেন। প্রসঙ্গত জানলাম, নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই থাকেন। তার এক ছেলে উচ্চশিক্ষিত। কানাডায় সেটেলড। আরেক ছেলে ‘শিরোনামহীন’র প্রধান ভোকাল তুহিন। বলতেই ছেলের সাথে মায়ের চেহারার মিল খুঁজতে চেষ্টা করতে লেগে গেলাম সবাই।
এসইউ/পিআর