মহাসাগরের ১০৯২৮ মিটার নিচে যাওয়ার রেকর্ড!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ২৩ মে ২০১৯

মানুষের কত রকমের শখই না থাকে। কেউ আকাশে ওড়ে, কেউ পানির নিচে ডুব মারে। তবে প্রত্যেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন কাজ করে থাকেন। তেমনই প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে গভীর তলদেশে গিয়ে রেকর্ড করেছেন এক মার্কিন অভিযাত্রী। তাকে নিয়েই আজকের আয়োজন-

মার্কিন অভিযাত্রী ভিক্টর ভেসকোভো। তিনি দেশটির সাবেক নৌ-সেনা কর্মকর্তা। এবার প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাতের তলদেশে প্রায় ১০,৯২৮ মিটার নিচে যাওয়ার রেকর্ড করেছেন। সূত্র বলছে, অজানা রহস্যের সন্ধানে এটিই হচ্ছে পৃথিবীর গভীরতম ডুব। কারণ এতদিন সেখানে মানুষের পা পড়েনি। সমুদ্রের সবচেয়ে গভীরতম বিন্দুতে নেমে রেকর্ড গড়েছেন এই মার্কিন অভিযাত্রী।

deep-in

> আরও পড়ুন- বিশ্বের আলোচিত যত ভয়াবহ হামলা

জানা যায়, অভিযাত্রীদের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাতই হচ্ছে গভীরতম বিন্দু ‘চ্যালেঞ্জার্স ডিপ’। তিন সপ্তাহে অন্তত চার বার সাবমেরিনে চেপে ডুব দিয়েছিলেন ভেসকোভো। তার উদ্দেশ্য ছিল, অজানাকে জানা এবং সমুদ্র তলদেশে পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা। চার বারের চেষ্টায় তিনি পৌঁছে যান সমুদ্রের প্রায় ১০,৯২৮ মিটার গভীরে। চতুর্থ বারের অভিযানে টানা ৪ ঘণ্টা সমুদ্রের তলদেশে কাটান তিনি।

ভেসকোভো জানান, চতুর্থ বারে লম্বা পায়ের চিংড়ি জাতীয় এক ধরনের অদ্ভুত প্রাণী দেখেছেন তিনি। প্রায় স্বচ্ছ দেখতে সমুদ্র শসা জাতীয় প্রাণীও দেখেছেন। আরও বেশ কয়েকটি অদ্ভুত প্রাণী নজরে এসেছে তার। তবে অবাক হয়েছেন, এত গভীরেও ভাঙা ধাতব খণ্ড আর প্লাস্টিকের টুকরা দেখে।

deep-in

> আরও পড়ুন- বিশ্বসেরা ১০ চিকিৎসকের একজন দেবী শেঠী

ভেসকোভোর মতে, তার আগে মাত্র দু’বার এর কাছাকাছি গভীরতায় নামার সাহস দেখিয়েছে মানুষ। ১৯৬০ সালে প্রথম বার সাবমেরিন পৌঁছায় ১০,৯১২ মিটার গভীরে। সেবার সেই সাহস দেখিয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনী। তারপর ২০১২ সালে কানাডার চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন ১০,৯০৮ মিটার নেমে প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে ছিলেন।

ফিরে এসে ভেসকোভো বলেন, ‘সেখানে যাওয়ার জন্য অজানা আবিষ্কারের কৌতূহল তো ছিলই। কিন্তু অবাক হয়েছি পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর সমুদ্রখাতে জমে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য দেখে। যেখানে এতদিন পর্যন্ত মানুষ পৌঁছতে পারেনি, সেখানেও জমে আছে রাশি রাশি আবর্জনা!’

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।