গরমে স্বস্তি আনে ঠান্ডা পানীয়
গরমে অতিষ্ঠ রাজধানীসহ সারাদেশ। ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। টানা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন অসহনীয় গরমে ঠান্ডা পানীয়ের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আব্দুল মোমেন-
সাধারণ মুদি দোকান কিংবা কুলিং কর্নারে মজুদ করা হয়েছে বিভিন্ন রকমের পানীয়। পথচারীরা বিভিন্ন রকমের পানীয় পান করে স্বস্তি লাভের চেষ্টা করে। কেউ আবার পানিতে বরফ ও লেবু দিয়ে ঠান্ডা শরবত বিক্রি করছে। অস্থায়ী ভ্যানে পানির জারে বরফ দিয়ে রাখা হয়। গ্লাসে লেবুর রস, চিনি, লবণ ও বরফ দেওয়া ঠান্ডা পানি দিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। এছাড়া ভেষজ শরবতও বিক্রি হচ্ছে খুব।
তবে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় হিসেবে ডাব অতুলনীয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করতে দেখা যায়। পুষ্টিগুণ ভালো থাকায় এ গরমে ডাবের পানি পান করতে পছন্দ করে অনেকেই। গলির প্রবেশপথ বা বাজারের নির্দিষ্ট স্থানে ফালি ফালি তরমুজ সাজিয়ে বিক্রি করছে হকাররা। পথচারীরা এসব পানীয় খেয়ে গরমে স্বস্তি আনার চেষ্টা করেন। তাছাড়া আইসক্রিম ও আখের রস পাওয়া যায় মোড়ে মোড়ে।
আরও পড়ুন > একটি পিঠা পার্ক পূরণ করছে তরুণদের স্বপ্ন
‘ঠান্ডা পানি, লাগবে পানি’- এমন হাকডাক প্রায়ই শোনা যায় যানজটে স্থবির রাস্তায় বা সিগনালে আটকে থাকা বাসে। অসহনীয় গরমে যানজটে আটকে থাকা মানুষের কাছে দেবদূত হয়ে হাজির হয় হকাররা। যাত্রীবাহী বাস কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ির যাত্রীরা ১৫-২০ টাকায় ঠান্ডা পানি কিনে নেন। যদিও ওই পানির স্বভাবিক মূল্য ১০ টাকা।
মমতাজ নামের এক হকারের কাছে জানা গেল তাদের ঠান্ডা পানির বিস্তারিত। মমতাজের সাথে পানি সংগ্রহের স্থানে গিয়ে পাওয়া গেল পানি ঠান্ডা করার নতুন এক অভিজ্ঞতা। ঢাকার ব্যস্ততম নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের সোনারগাঁও হোটেলের মোড়ে তিতাস ভবন। এ ভবনের পেছনের গলিতে দেখা মিলল ৩০০-৪০০ লিটারের পানির খালি ড্রাম। কয়েকজন বড় সাইজের বরফকে ভেঙে ড্রামে স্তর করে বিছিয়ে রাখছে। এক স্তর বরফের ওপর এক স্তর পানির বোতল। এভাবে বরফের ওপর বোতল রেখে ড্রামগুলো বন্ধ করে রাখা হয় কিছুক্ষণ।
অনেক বোতল কম সময়েই ঠান্ডা হয় ড্রামে। তারপর হকাররা এসে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় এসব পানি। তারা ঠান্ডা পানির মহাজনের কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যে প্রতি পিস পানি নিয়ে পথচারীর কাছে বিক্রি করেন ১৫-২০ টাকা দামে। মহাজন জানান, তার ১০ জন সরবরাহকারী রয়েছে। প্রতিদিন ২৪ পিসের প্রায় ৮০-১০০ কেস পানি হকারদের কাছে বিক্রি করেন তিনি।
আরও পড়ুন > সাড়া ফেলেছে পুলিশের রক্তদান কর্মসূচি
পথচারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘এসব পানির দাম একটু বেশি। তারপরও দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা বা ছুটে চলা মানুষের জন্য তীব্র গরমে স্বস্তি লাভের জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী-ই বা হতে পারে।’
এসইউ/জেআইএম