প্যান্ট ছাড়াই উঠতে হবে মেট্রো রেলে!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯

টিকিট কেটে মেট্রো রেলে উঠেই ‘চক্ষু চড়কগাছ’! কারণ কেউ প্যান্ট পরেননি। শুনতে অবাক লাগছে? তবে ঘটনা কিন্তু সত্য। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশে মেট্রো রেলে চড়লে এমন দৃশ্য চোখে পড়তেও পারে।

বিনোদনের মাধ্যমে মহত কিছু করার ‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’ নামের একটি বিশেষ উদ্যোগে যুক্ত হতে চাইলে যাত্রীদের প্যান্ট খুলে মেট্রো রেলে চড়তে হয়।

জানা যায়, আজ থেকে ১৭ বছর আগে নিউ ইয়র্কে প্রথম চালু হয়েছিল ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’। একটি কমেডি পারফরম্যান্স আর্ট গ্রুপ ‘ইমপ্রুভ এভরিহয়্যার’ এ রাইডের সূচনা করে। সে বছর প্রায় ১৫০ জন অংশ নিয়েছিলেন এ কর্মসূচিতে।

এমন উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিদিনের যাত্রীদের একঘেয়ে জীবন থেকে বের করে কিছুক্ষণের জন্য একটু আনন্দ দেওয়া। এর পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জনপ্রিয় হয় ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’র ভাবনা।

metro-in

বর্তমানে বার্লিন, বোস্টন, প্রাগ, পোল্যান্ড, ফিলাডেলফিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশে পালিত হয় এ কর্মসূচি। ২০১৬ সালে মস্কো এ কর্মসূচিতে যোগ দেয়।

শুধু মানুষকে আনন্দ দেওয়াই এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলেও সামাজিক ও মানবিক কিছু দায়বদ্ধতাও রয়েছে। কারণ এ ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’র মাধ্যমে সংগৃহীত প্যান্টগুলো চলে যায় ভালো কাজে।

ফিলাডেলফিয়ায় ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’-এ অংশগ্রহণকারীরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে নিজেদের প্যান্ট খুলে ফেলেন। পরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ওই প্যান্টগুলো সংগ্রহ করে স্থানীয় দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিয়ম খুবই সহজ। আগ্রহীদের নির্ধারিত স্থানে জড়ো হতে হয়। নির্দেশনামতে ছোট ছোট গ্রুপে ভেঙে মেট্রো রেলে গিয়ে ওঠেন।

তখন অংশগ্রহণকারীদের শিখিয়ে দেওয়া হয়, ‘যদি কেউ বলে এই তোমার প্যান্ট কই?’ তাহলে এর উত্তর অত্যন্ত নরম সুরে বলতে হবে, ‘ওহ! প্যান্ট পরতেই ভুলে গেছি!’

যদিও প্রত্যেক বছর অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন হয়। সে হিসেবে এ বছরের ৭ জানুয়ারি হয়ে গেছে সেই ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’ কর্মসূচিটি।

এসইউ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।