সংস্কৃতিকর্মীদের মনে বসন্তের ছোঁয়া
ফাগুনে এসেছে। এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্তের হাতছানিতে উত্তাল প্রকৃতিপ্রেমী মন। দিগন্তজুড়ে সরিষা, শীত শেষে গাছে নতুন পাতা, সাথে ফুটছে ফুল। যদিও কবি বলেছেন, ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।’ সেই ঋতুরাজ বসন্তের পহেলা ফাল্গুনকে বরণ করে নিতে মেতে উঠেছে সংস্কৃতিকর্মীরা। রঙিন কলমে, কোমল হাতের আল্পনায় প্রাণশক্তি ফিরে এসেছে। দলে দলে সবাই আঁকছে, কেউ ফুল, কেউ পাতা। এমন দৃশ্য দেখা গেল লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে।
কলেজের চারু ও কারুকলা পরিষদের সদস্যরা বেশ জমকালো আয়োজনে বসন্ত উৎসবকে ঘিরে কলেজের সৌন্দর্যকে মোহনীয় করছে তুলছে। শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরিষদের সদস্যরা নানা রঙের ফুল আঁকছে, গান ও নৃত্য পরিবেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কলেজ প্রশাসনের নিবিড় পর্যবেক্ষণও চোখে পড়েছে।
> আরও পড়ুন- অভাবের সংসারেও পাঠশালা চালাচ্ছেন সুব্রত
২০১৭ সাল থেকে ‘চারুকলা সংসদ’ নামে একটি সংগঠন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাইন উদ্দিন পাঠানের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শে সংস্কৃতিমনা ছাত্র-ছাত্রীদের নিরন্তর চেষ্টায় সংগঠনটি নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও আয়োজন করেছে ‘বসন্ত উৎসব ১৪২৫’।
চারুকলা সংসদের সদস্য মাছুম জুলকারনাইন বলেন, ‘বসন্ত উৎসবে ছেলেরা বাসন্তি রঙের পাঞ্জাবি ও মেয়েরা বাসন্তি রঙের শাড়ি পরে আসে। শুরু হয় আবিরের ছড়াছড়ি। শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ উৎসবে ছুটে আসে। আমাদের এ উৎসব পুরো জেলায় অঘোষিত সাংস্কৃতিক বিপ্লব এনে দিয়েছে।’
> আরও পড়ুন- রোভার মুটের শতবর্ষে অংশ নিলো ২ হাজার স্কাউট
সংস্কৃতিকর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর বসন্ত উৎসব উপলক্ষে নানা রকম ফুল ও কারুকাজ তৈরি করি, যা উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তোলে। নাচে-গানে মুখরিত হয় ক্যাম্পাস।’
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাইন উদ্দিন পাঠান বলেন, ‘প্রকৃত মানুষ হতে হলে অবশ্যই সংস্কৃতিচর্চা করতে হবে। সংস্কৃতি সুন্দরের কথা বলে, আলোর পথ দেখায়। যার মনে নান্দনিক সৌন্দর্য নেই, সে কখনো প্রকৃত অর্থে মানুষ হতে পারে না। তাই বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে আমরা এই দিনে কলেজে বসন্ত উৎসব উদযাপন করি। আমি মনে করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
এসইউ/এমকেএইচ