বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে পরিত্যক্ত বাড়ি!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন কারণে অনেকেই ভাড়া বাড়িতে থাকেন। দিনের পর দিন মোটা অঙ্কের ভাড়া গুনতে গুনতে আয়ের অর্ধেকটাই শেষ। ভাড়া আর সংকীর্ণ জায়গার কারণে দশ বাই দশ ফুটের ফ্ল্যাটে থাকতে ইচ্ছা করে না। কখনো কখনো সহকর্মী বা বন্ধুর বড় বড় বাড়ি দেখলে মনের মধ্যে কষ্টগুলো মোচড় দিয়ে ওঠে।

তবে এসব দুঃখ-কষ্ট এবার ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে। কারণ এবার আপনি পেয়ে যেতে পারেন আস্ত একটি বাড়ি। তা-ও আবার প্রায় বিনামূল্যে! বিশ্বাস না হওয়ারই কথা। কিন্তু সত্যিই পানির দরে বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। আসলে এমন খবরে বাংলাদেশিদের খুশি হওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ এমন আকর্ষণীয় অফার চালু হয়েছে জাপানে।

এক প্রতিবেদনে জানা যায়, জাপানে প্রায় ৮০ লাখ পরিত্যক্ত বাড়ি সামান্য অর্থের বিনিময়েই দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিনের পর দিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরনো আমলের বাড়িগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

jagonews

তাছাড়া জাপানের মানুষের মধ্যে অদ্ভুত অন্ধবিশ্বাস কাজ করে। এসব বাড়িতে অনেকেই রোগে ভুগে বা বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গিয়েছেন। ফলে কোনোভাবেই এসব বাড়ির চড়া দাম পাওয়া যাবে না। সে কারণেই জাপানের বিভিন্ন শহরে অবস্থিত পরিত্যক্ত বাড়িগুলো কার্যত বিনামূল্যেই দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাড়িগুলো নামমাত্র দামে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি অনেক বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকার এমন কিছু ক্রেতা চাইছে, যারা সেসব বাড়ি মেরামত করতে কিংবা ভেঙে ফেলে সে জায়গায় নতুন কোনও প্রকল্প তৈরি করতে আগ্রহী।

সূত্র আরও জানায়, যতই দিন যাচ্ছে; ততই জাপানে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে সে দেশে ৪ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। ফলে অবসরের পর তাদের মৃত্যু হলে বছরের পর বছর সেসব বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকছে।

jagonews

তাই যারা বাসস্থানের অভাবে সমস্যায় ভুগছেন, সেসব মানুষের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করে দিতেই এমন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে- আগামী কয়েক বছরে জাপানে বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এসইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।