১০৭ বছর বয়সেও চুল কাটেন তিনি!
তার নাম অ্যান্থনি ম্যানসিনেলি। বয়স ১০৭ বছর। তিনি নিউ ইয়র্কের অদূরে একটি সেলুনে ফুলটাইম কাজ করেন, সপ্তাহে ৫ দিন। এখনো তার একটি দাঁতও পড়েনি, সুঠাম দেহ, সাদা হলেও মাথাভর্তি চুল, সারাক্ষণ দাঁড়িয়েই কাজ করেন। চোখেও সমস্যা নেই। নিয়মিত কোনো ওষুধও খান না।
সেলুনের মালিক জানান, অ্যান্থনি যে কোনো তরুণের চেয়েও কর্মঠ এবং দক্ষ। তার কাছে ৫০ বছর ধরে চুল কাটেন, এমন অনেকেই আছেন যারা অন্য কারো কাছে চুল কাটান না। একটি পরিবারের চার জেনারেশনের চুল তিনি নিয়মিত কেটে যাচ্ছেন।
অ্যান্থনি ম্যানসিনেলি ১৯১১ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেন। আট বছর বয়সে পরিবারের সাথে আমেরিকায় পাড়ি জমান। বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়ে ১২ বছর বয়স থেকে নরসুন্দরের কাজ শুরু করেন। সেসময় জনপ্রতি চুলকাটার জন্য পেতেন ২৫ সেন্ট। এখন নেন ১৯ ডলার।
> আরও পড়ুন- ৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
অ্যান্থনি জানান, ১৪ বছর আগে (৭০ বছর বয়সে) স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজেকে ব্যস্ত রাখতে কাজ অব্যাহত রেখেছেন। কখনোই অবসরের চিন্তা করেননি। এখন একাই থাকেন, বাজার করা থেকে যাবতীয় বিল পরিশোধ নিজেই করেন। প্রতিদিন স্ত্রীর কবর দেখে কাজ শুরু করেন। মন সবসময় ভালো রাখেন, স্প্যাগেটি পছন্দ করেন, ধূমপান বা মদ্যপান থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকেন। নিজেই গাড়ি চালান।
জানা যায়, দশ বছর আগেই তিনি বিশ্বের প্রবীণতম নরসুন্দরের খেতাব পেয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ৯৬ বছর বয়সেই তার নাম উঠেছিল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। এখন তিনি একটি অত্যাধুনিক সেলুন চালান। নিয়মিত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চুল কাটেন খদ্দেরের। বর্তমান ফ্যাশনের স্টাইল তিনি ভালোই রপ্ত করেছেন।
এক খদ্দের জানান, ‘আমি অ্যান্থনি ছাড়া অন্য কাউকে আমার চুলে হাত লাগাতে দেই না। তিনি এত নিখুঁতভাবে চুল কাটেন যে বুঝতেই পারি না। উনি খুব দ্রুত কাজ করেন। ২০ বছরের ছেলেরাও তার মতো গতিতে চুল কাটাতে পারে না। উনি অসুস্থতার জন্য কোনদিন সেলুন বন্ধ রাখেননি।’
> আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি হয়েও তিনি ফুটবল খেললেন
সূত্র জানায়, সেলুন থেকে কিছুটা দূরে একাই থাকেন তিনি। তার ৮০ বছর বয়সী ছেলে একটু দূরেই থাকেন। ছেলের সাহায্য নেওয়া পছন্দ করেন না। বাড়িতে কাজের লোক আছে, তবে নিজেই রান্না করেন। সেলুনের জিনিসপত্র পরিষ্কার করেন নিজেই। এই তার প্রতিদিনের রুটিন।
এসইউ/পিআর