১৮ বছর ধরে নির্জন দ্বীপে এক নারী

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮

ড্যানিয়েল ডিফোর ‘রবিনসন ক্রুসো’র কথা আমরা অনেকেই জানি। পথ হারানো এক নাবিকের জীবন অবলম্বনে লেখা এই উপন্যাস এখনো পঠিত হচ্ছে। কিন্তু আজ যা শুনবো, তা আসলে গল্প-কাহিনি নয়। একেবারে বাস্তব ঘটনা। দীর্ঘ ১৮ বছর একটি নির্জন দ্বীপে একা থাকতে হয়েছে তাকে।

যে ঘটনা অবলম্বনে পরবর্তীতে উপন্যাসও লেখা হয়েছে। দেড়শ’ বছর আগের এ ঘটনা এখনো চমকে দেয় সারা পৃথিবীর মানুষকে। সেই নিঃসঙ্গ নারীর নাম জুয়ানা মারিয়া। তবে এটি তার আসল নাম নয়। সভ্য সমাজে ফেরার পর তিনি এ নাম পেয়েছিলেন। তবে তার আসল নাম জানা যায়নি।

maria-in

প্রশ্ন জাগে- কে এই জুয়ানা মারিয়া? তবে মারিয়া জুয়ানার জীবন অবলম্বনে লেখা উপন্যাসের নাম ‘আইল্যান্ড অব দ্য ব্লু ডলফিন্স’। উপন্যাসটি পড়লে তার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যাবে। ১৮ বছর পর সভ্য পৃথিবীতে ফিরে আসার সাত মাস পর মারা যান মারিয়া। তিনি মারা যাওয়ায় অনেক রহস্য হয়তো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।

জানা যায়, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি নির্জন দ্বীপ ‘সান নিকোলাস’। সেখানে বাস করত নিকোলেনো উপজাতিরা। দশ হাজার বছর ধরে তারা ওই দ্বীপে বাস করে আসছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যা কমতে থাকে। অবশেষে ১৮৩৫ সালে দ্বীপের অবশিষ্ট বিশজন অধিবাসীকে একটি নৌকায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিছুক্ষণ পরই দেখা যায়, নৌকায় দু’জন নেই। এক নারী ও তার দুই বছরের ছেলে নৌকায় নেই। এই দু’জনের একজন মারিয়া। অন্যজন তার সন্তান। বলা হচ্ছে- ছেলে হারিয়ে যাওয়ায় নৌকা থেকে নেমে যান মারিয়া। তাকে খুঁজতেই আবার চলে যান দ্বীপে।

maria-in

এরপর ঠিক কী ঘটেছিল তা আর জানা যায়নি। ১৮ বছর পরে ১৮৫৩ সালে যখন খোঁজ পাওয়া যায় মারিয়ার; তখন সভ্যতার সঙ্গে তার সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি ইশারায় বুঝিয়েছিলেন, তার ছেলে বুনো কুকুরের শিকারে পরিণত হয়েছিল। তাই একাই ওই দ্বীপে প্রবল সংগ্রাম করে বেঁচেছিলেন।

বাকরুদ্ধ জুয়ানা মারিয়া জানান, সমুদ্রের তিমি মাছের হাড় দিয়ে তৈরি করেছিলেন তার বাড়ি। এছাড়া সিল মাছ, বুনো পাখি মেরে ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে হয়েছে তাকে। তার জীবন সংগ্রাম পৃথিবীর মানুষ সচক্ষে দেখতে না পারলেও উপন্যাসটি পড়ে উপলব্ধি করতে পারবেন অনেক কিছুই। তাই তো আলোড়ন তুলছে মারিয়ার জীবনভিত্তিক গল্প-কাহিনি।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।