যে ফুলে প্রাণনাশ হতে পারে
ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুল সবাইকেই বিমোহিত করে। ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে মনকাড়া এ ফুলই আবার হয়ে থাকে প্রাণনাশের কারণ। পৃথিবীতে এমন কিছু ফুলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার ঘ্রাণ নেওয়া, স্পর্শ করা বা খাওয়ার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব বিষাক্ত ফুল প্রাণিকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ।
হেমলক
বসন্তকালে হেমলক গাছ বাড়ে। ফলে তখনই হেমলক ফুল ফোটে। হেমলক ফুল দেখতে ছোট ও সাদা বর্ণের। ফুলগুলো অনেকটা জালের মত ছড়িয়ে থাকে। এই গাছের পাতা-ফুল-আঠা খুবই বিষাক্ত। এটি খালি হাতে স্পর্শ করা যায় না। প্রাণির শরীরে হেমলক বিষ ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। এর ৩ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
নেরিয়াম
নেরিয়াম গুল্মজাতীয় মাঝারি আকারের ঘন সবুজ গাছ। এর পাতার ফাঁকে ফাঁকে থাকে লাল বা গোলাপি রঙের ফুল। ফুল সাধারণত লাল, বেগুনি, সাদা, হলুদ ও কৃষ্ণ বর্ণের হয়। এই ফুলের কারণে মানুষ ও পশু-পাখি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
> আরও পড়ুন- আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে যে পাতা
অ্যাকোনিটাম
এই উদ্ভিদকে হেমলকের প্রতিদ্বন্দ্বীও বলা যায়। ফুলটি ‘শয়তানের হেলমেট’, ‘নীল রকেট’ নামেও পরিচিত। ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ এটি। এর মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই উপসর্গগুলো দেখা যায়। তবে ২-৬ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
ব্রগম্যানস
গুল্মজাতীয় মাঝারি আকারের গাছে ফুল ঝুলে থাকে। দেখতে সাদা, গোলাপি, হলুদ, কমলাসহ বেশ কয়েকটি রংয়ের হয়ে থাকে। গাছ সাধারণত ১২-১৫ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। উদ্ভিদটিতে মারাত্মক বিষ থাকে। তাই স্নিগ্ধ এই ফুলকে ‘শয়তানের ডঙ্কা’ বলা হয়ে থাকে।
এসইউ/পিআর