আট বিভাগীয় শহরে সিনেমা বানাবেন আট নির্মাতা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

সংস্কৃতির বিকাশ ও বিকেন্দ্রীকরণের জন্য বাংলাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরে কর্মশালাভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে আটজন পরিচালক নির্বাচন করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

নির্বাচিত এই আটজন চলচ্চিত্রকার হলেন অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, নুহাশ হুমায়ূন, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ ও মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম যুক্ত হবে এবং দেশের বরেণ্য ও মেধাবী চলচ্চিত্রকারদের পরিচালিত কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবে। নবীন ও প্রশিক্ষিত চলচ্চিত্রকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচিত এই আট চলচ্চিত্রকার আটটি বিভাগীয় শহর থেকে এ বছর আটটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন।

গত ডিসেম্বর মাসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়। সার্চ কমিটি গত দুই মাসে তিনটি অফলাইন এবং একাধিক অনলাইন সভায় মিলিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ১৬ জনের একটি তালিকা করেন। এরপর নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ব্যস্ততা, আগ্রহ, জেন্ডার, কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আটজনকে চূড়ান্ত করেন।

এই আটজন চলচ্চিত্রকার ২০২৫ সালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মাশালা পরিচালনা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে। এসব কর্মাশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেঁধে দেওয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক এবং তারুণ্যদীপ্ত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরও স্বচ্ছন্দ হবেন। বিশেষ করে যে দীর্ঘ দুঃসময় আর রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষা এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাব বলে আমরা আশা করছি।’

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ঢাকার বাইরের একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে এই শিল্প প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করবে এবং এই বিপ্লবোত্তর সময়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পসংস্কৃতির একটি নতুন ভাষ্যের সন্ধাণ দেবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ চলমান থাকবে এবং দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্রকারদের আরও অনেকেই পরবর্তী বছরগুলোতে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হবেন।

এলআইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।