জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সারজিস-হাসনাত, গাইলেন প্রিন্স মাহমুদের গান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের একটি কক্ষে আহত জুলাইযোদ্ধারা

জুলাই আন্দোলনে অঙ্গহানির শিকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গাইতে দেখা গেল প্রিন্স মাহমুদের গান। তাদের সঙ্গে বসে সমস্বরে গলা মেলাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সম্প্রতি এ রকম এক ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন গীতিকবি ও সুরস্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদ।

কোন গানটি গাইছিলেন তারা? সমবেত কণ্ঠে তারা গাইছিলেন জেমসের গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি। এ গানের কথা ও সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। ভিডিওতে দেখা গেছে আহত জুলাইযোদ্ধা ও তাদের স্বজনদের। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই গানের আসর বসেছিল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে হাজির হয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

ভিডিও শেয়ার করে প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়া জুলাই বীরদের নতুন বছর বরণ, এই গান এই হাসি দেখছিলাম। চোখ ভিজে আসছিল যতবার দেখছি ঠিক ততবার।’

আবেগাপ্লুত প্রিন্স মাহমুদ আরও লিখেছেন, “বাংলাদেশ” গান যে এভাবে কখনো দেখতে হবে, বিসর্জনের কণ্ঠ এমন করে শুনতে হবে, সত্যই কল্পনা করতে পারিনাই। দেশটা ঠিক হবে কিন্তু ছেলেগুলো তো চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেল।’

জুলাই আন্দোলনে কেবল ফেসবুকেই সরব ছিলেন না প্রিন্স মাহমুদ। আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবির প্রতি সমর্থণ জানিয়ে  রীতিমতো পথে নেমেছিলেন। প্রতিবাদে রবীন্দ্র সরোবর থেকে শহীদ মিনারে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন এই গানের কবি ও সুরস্রষ্টা।

গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পরও সামাজিক নানান অসঙ্গতি নিয়ে সোচ্চার এই শিল্পী। মাঝে সরকারের একটি কমিটিতে ডাক পেয়ে বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার ‘ঈশ্বর’ গানটি সুর করার জন্য সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ডে সেরা সুরকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।


এমআই/আরএমডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।