তিন মৃত্যুর ভার ছিল অস্বাভাবিক

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদায়ী বছরে বিনোদন অঙ্গন হারিয়েছে অনেক গুণীজনকে। অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পীসহ বিনোদন অঙ্গনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিল্পী চলে গেছেন ২০২৪ সালে। এর প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে দুটি মৃত্যুর ভার ছিল অস্বাভাবিক।

আহমেদ রুবেল (১৯৬৮-২০২৪)
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি নন্দিত অভিনেতা আহমেদ রুবেলকে হারিয়েছে বিনোদন অঙ্গন। তার মৃত্যুর ঘটনাটি স্তব্ধ করে দেয় এই অঙ্গনের সবাইকে।

দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর মুক্তি পাওয়া নিজের ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন অভিনেতা আহমেদ রুবেল। ছবিটি আর দেখা হয়নি তার। প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের গাড়ি পার্কিংয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় নন্দিত এই অভিনেতার। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে তার চলে যাওয়া শোকাচ্ছন্ন করে দেয় বিনোদন অঙ্গনকে।

আহমেদ রাজিব রুবেল বিনোদন অঙ্গনে আহমেদ রুবেল নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সপরিবারে ঢাকার গাজীপুরে থাকতেন তিনি।

আহমেদ রুবেলের অভিনয়ে হাতেখড়ি সেলিম আল দীনের ঢাকা থিয়েটারে। মঞ্চে ‘বনপাংশুল’, ‘যৈবতী কন্যার মন’, ‘হাতহদাই’, ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ নাটকগুলোতে অভিনয় করতেন তিনি। রুবেল অভিনীত প্রথম টিভিনাটক গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’। ২০০৫ সাল থেকে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতে থাকেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’। হুমায়ূন আহমেদের ‘পোকা’ নাটকে ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষভাবে পরিচিতি পেয়ে যান আহমেদ রুবেল।

আহমেদ রুবেল ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। পরে তিনি অভিনয় করেছেন ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘গেরিলা’ সিনেমাগুলোয়। ২০১৪ সালে ভারতের নির্মাতা সঞ্জয় নাগ পরিচালিত সিনেমা ‘পারাপার’–এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

সাদি মহম্মদ (১৯৫৭- ২০২৪)
প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদের মৃত্যুও হতবাক করে দিয়েছে সর্বস্তরের মানুষকে। চলতি বছরে ১৩ মার্চ মারা যান তিনি। তার মৃত্যু ছিল বছরের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা। নানান কারণে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেন এই নন্দিত সংগীতশিল্পী। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে ফিরিয়েছিল পরিবার। কিন্তু তিনি যেন সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছিলেন, তার কাছে পৃথিবীর প্রয়োজন ফুরিয়েছে!

সাদি মহম্মদ ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার কণ্ঠে ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম দুটি প্রকাশিত হয়।

২০১২ সালে সাদি মহম্মদকে আজীবন সম্মাননা দেয় চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার দেয় বাংলা একাডেমি। তবে সরকারি কোনো স্বীকৃতি জীবদ্দশায় পাননি এই শিল্পী। অনেকের মতে, সেটিও ছিল তার অন্যতম অভিমান।

মনি কিশোর (১৯৬১-২০২৪)
নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর। গত ২০ অক্টোবর রামপুরার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রায় চার-পাঁচদিন ধরে ঘরে পড়ে ছিল তার মরদেহ। ওই বাড়িতে তিনি একাই বাস করতেন। লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে পড়শিরা পুলিশে খবর দেন। ভেতর থেকে বন্ধ দরজা ভেঙে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছিল, তাদের ধারণা ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছিল মনি কিশোরের। কারণ তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন আগেই। সন্তান দেশের বাইরে পড়ালেখা করছিলেন। এ অবস্থায় মৃত্যু ও একাকী বাড়িতে পড়ে থাকার মতো ঘটনা মানুষকে বিস্মিত ও হতবাক করেছে।

মনি কিশোর গেয়েছিলেন প্রায় পাঁচ শতাধিক গান। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। যদিও এই মাধ্যমগুলোতে খুব কমই গান গেয়েছেন তিনি। নব্বই দশকের চাঙ্গা অডিও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী ছিলেন তিনি। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ উল্লেখযোগ্য।

মনি কিশোরের আসল নাম মনি মন্ডল। অডিও বাজারের জনপ্রিয় শিল্পী হলেও সিনেমায় তিনি খুব কম গান গেয়েছেন। মনি কিশোরের সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার বলো না তুমি’। তার লেখা ও সুর করা এই গানটি ‘কে অপরাধী’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন।
নব্বই দশকের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। তখন সনাতন ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর মুসলিম হিসেবেই জীবন যাপন করছিলেন এই শিল্পী। মৃত্যুর প্রায় দেড় যুগ আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার দাম্পত্যজীবনের অবসান ঘটে।

সুরতহাল ও দাপ্তরিক নিয়মকানুনের পর গীতিকার মিল্টন খন্দকারের তত্বাবধানে রামপুরার একটি মসজিদের পাশে দাফন করা হয় মনি কিশোরকে। তার মৃত্যুর ভারও ছিল অস্বাভাবিক।

হারিয়েছে আরও যত গুণীজন

অলিউল হক রুমি
অভিনেতা অলিউল হল রুমি মারা যান ২২ এপ্রিল। ক্যানসার জয় করে অভিনয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। তিন দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করে আসছিলেন তিনি। বহু নাটক ও সিনেমায় তাকে দেখেছেন দর্শক।
১৯৮৮ সালে ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্যদিয়ে শুরু হয় তার মঞ্চের ক্যারিয়ার। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে টিভিনাটকে অভিষেক হয় তার। ২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়।

বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় অভিনয় তাকে পরিচিতি এনে দেয়। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকাপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, চৈতা পাগল’, ‘জমজ সিরিজ’, ‘ঢাকা মেট্রো লাভ’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘রতনে রতন চিনে’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘জীবনের অলিগলি’ ইত্যাদি।
অলিউল হক রুমি ১৯৬৪ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনায় জন্মগ্রহণ করেন।

আলাউদ্দিন লাল
গত ২৫ সেপ্টেম্বর মারা যান অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল। ২০০৮ সাল থেকে টিভিনাটকে অভিনয় করেন তিনি। প্রায় ৩০০ নাটকে অভিনয় করেছেন এই প্রবীণ অভিনেতা।

সুজেয় শ্যাম
দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে ১৭ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠসেনা সুজেয় শ্যাম। তার সুর করা জনশ্রুত গানগুলোর মধ্যে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘শোন রে তোরা শোন’ উল্লেখযোগ্য। একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানটিরও সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম।

গীতিকার শহীদুল আমিনের লেখা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন সুজেয় শ্যাম। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে তিনি পান শিল্পকলা পদক।

সুজেয় শ্যাম ১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অমরেন্দ্র চন্দ্র শাহ ছিলেন ‘ইন্দ্রেশর-টি’ নামের একটি চা–বাগানের মালিক। তার শৈশব কেটেছে সিলেটের চা-বাগানে। দশ ভাইবোনের মধ্যে সুজেয় ছিলেন ষষ্ঠ।

মাসুদ আলী খান
বরণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা যান চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। মঞ্চনাটক দিয়ে শুরু হয় তার অভিনয়ের ক্যারিয়ার। ১৯৫৬ সালে দেশের প্রথম নাটকের দল ‘ড্রামা সার্কেল’-এ যুক্ত হন তিনি। সেই থেকে দীর্ঘকাল ধরে অভিনয় করে যাচ্ছিলেন।

১৯৬৪ নূরুল মোমেনের ‘ভাই ভাই সবাই’ নাটকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক। পাঁচ শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।

বড়পর্দায় তার অভিষেক হয় ‘নদী ও নারী’ সিনেমায় মাধ্যমে। তার অভিনীত কয়েকটি সিনেমা ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’, ‘জোনাকীর আলো’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’।

মাসুদ আলী খান ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০২৩ সালে তিনি পেয়েছেন একুশে পদক।

আফরোজা হোসেন
গত ১০ নভেম্বর মারা যান ছোটপর্দার অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন আফরোজা। জরায়ুমুখ ক্যানসার ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড থেকে হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৮০-১৯৯০ এর দশকে বিনোদন পাড়ার পরিচিত মুখ ছিলেন আফরোজা। ক্যারিয়ারের শুরুতে টেলিভিশন নাটক তাকে পরিচিতি এনে দেয়। পরে চলচ্চিত্রেও কাজ শুরু করেন এই অভিনেত্রী।

আবু জাফর
গত ৫ ডিসেম্বর মারা যান খ্যাতিমান গীতিকার, সুরকার ও শিক্ষক আবু জাফর। বেশকিছু কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ উল্লেখযোগ্য। এগুলোর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি বিবিসির করা জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে জায়গা করে নেয়। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান বাংলা সংগীতে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছে।

কবি আবু জাফর লিখেছিলেন বেশ কিছু কবিতার বইও। সেসবের মধ্যে ‘নতুন রাত্রি পুরোনো দিন’, ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’, ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) উল্লেখযোগ্য।

আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত গীতিকারও ছিলেন। পড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে।

পাপিয়া সারোয়ার
গত ১২ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগেছেন এই শিল্পী।

সি বি জামান

আলোচিত ‘উজান ভাটি’ সিনেমার নির্মাতা সি বি জামান মারা যান গত ২০ ডিসেম্বর। চলতি মাসেই হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।

সি বি জামান তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘ঝড়ের পাখি’, ‘উজান ভাটি’, ‘পুরস্কার’, ‘কুসুম কলি’সহ বেশ কয়েকটি ছবি বানিয়েছিলেন, সেগুলো ছিল প্রশংসিত।

মিনহাজ আহমেদ পিকলু

গত ২০ ডিসেম্বর মারা যান রকস্ট্রাটা ও অর্থহীন ব্যান্ডের সাবেক গিটারিস্ট মিনহাজ আহমেদ পিকলু। তিনি ছিলেন কিংবদন্তি গিটারিস্ট নিলয় দাশের শিক্ষার্থীদের অন্যতম। রামপুরার একটি অনুষ্ঠানে গিটার বাজাতে বাজাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

গিটারিস্ট পিকলু আশির দশকের মাঝামাঝি হার্ডরক ঘরানার ব্যান্ড রকস্ট্রাটা ও জলি রজারসে গিটার বাজাতেন। নব্বইয়ের দশকের প্রথমদিকে কিছুদিন তিনি ওয়ারফেজ ব্যান্ডে যোগ দেন। পরে ১৯৯৯ সালে তিনি যোগ দেন অর্থহীন ব্যান্ডে। অর্থহীনের ‘রাতের ট্রেন’, ‘গুটি ফ্রম হেল’, ‘নির্বোধ’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গানে গিটার বাজিয়েছেন তিনি।

এমআই/আরএমডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।