অখ্যাত অভিনেতা থেকে সুপারহিরো হয়ে উঠার অজানা গল্প
অ্যাভেঞ্জার্স দুনিয়ার সফল এক চরিত্র থর। এ চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ক্রিস হেমসওয়ার্থ। অনেক রকম চরিত্রে কাজ করে প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। তবে দর্শক তাকে থর চরিত্রেই ভাবতে যেন বেশি ভালোবাসেন।
কল্পনা করুন তো, যদি অন্য কেউ থর চরিত্রটি অভিনয় করতেন তবে কেমন হতো? এটা প্রায় ঘটতে
যাচ্ছিল! ক্রিস হেমসওর্থ এই চরিত্রটি হারাতে যাচ্ছিলেন। সে গল্পটি সত্যিই চমকপ্রদ। এর মধ্যে রয়েছে ভীতি, পরিবারের সমর্থন এবং অভিনেতার সৌভাগ্যও।
২০০৯ সালে ক্রিস মূলত অস্ট্রেলিয়ার টিভি শোতে পরিচিত ছিলেন। একটি সিনেমায় ছোট্ট একটা অংশে অভিনয় করেছিলেন মাত্র। যখন থরের চরিত্রটির জন্য অডিশনের সুযোগ আসলো তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ভাবলেন, ‘এটাই আমার সুযোগ। আমি এর জন্য পারফেক্ট!’
কাস্টিং কলে বলা হয়েছিল, যে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ২০০ পাউন্ড (৯০ কেজি) হবে তাকে এই চরিত্রে নেয়া হবে। ক্রিস ভাবলেন, তিনি পারফেক্ট আছেন। তিনি পরিচালক কেনেথ ব্রানাহের সাথে অডিশনে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেন। কিন্তু অডিশনের পরে কিছুই হলো না। কোনো কল আসেনি, কোনো ফিডব্যাকও ছিল না।
এদিকে ক্রিসের ছোট ভাই লিয়ামও অডিশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। সেই লিয়াম থর চরিত্রের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় পৌঁছেছিল! ক্রিস তখন ভ্যাঙ্কুভারে ক্যাবিন ইন দ্য উডস সিনেমার শুটিং করছিলেন এবং তার বন্ধু জস উইডন ও ড্রু গডার্ডের কাছ থেকে এ বিষয়ে শুনলেন। তারা বললেন, ‘তুমি কেন থরের জন্য সুযোগ পাচ্ছো না?’ ক্রিস জবাবে বললেন, ‘আমি জানি না। মনে হয় আমি অডিশনে ভালো করতে পারিনি। তাই মিস করেছি। মনে হয় লিয়ামই থর হবে।’
কিন্তু তারপর কিছু চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল। কাস্টিং পরিচালকরা অন্য অভিনেতাদের পছন্দ করেননি। তারা ক্রিস হেমসওয়ার্থকে বেছে নিয়েছিলেন। আর সেই সিদ্ধান্ত যে কতোটা ভালো হয়েছে তার প্রমাণ তো থর সিরিজগুলোর আকাশ ছোঁয়া সাফল্য দেখলেই বোঝা যায়।
তবে ক্রিস মনে করেন, তার ছোট ভাই লিয়ামও থর চরিত্রে পারফেক্ট ছিলেন। তিনিও খুব ভালো করতেন চরিত্রটি। যদিও তিনি চাইতেন ভাইকে হারিয়ে নিজে থর হতে। সেটা হওয়াতে তার মধ্যে তৃপ্তিও কাজ করে। আর লিয়ামও সন্তুষ্ট। তিনি নিজেও ভালো অভিনেতা হিসেবে ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ ও ‘দ্য উইচার’ সিরিজে প্রমাণ রেখেছেন।
ক্রিস হেমসওয়ার্থ দাবি করেন, ‘ভালো যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা পরিবারের মধ্যেও হওয়া উচিত।’
এলএ/জিকেএস