প্রদর্শিত হলো পোস্টপ্রো ট্যালেন্টল্যাবের তিন শর্টফিল্ম
পোস্টপ্রো ট্যালেন্টল্যাব একটি প্রবর্তক উদ্যোগ যা বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ এবং কোরিয়া-বিশ্বব্যাংক পার্টনারশিপ ফ্যাসিলিটি (কেডব্লিউপিই)- এর যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালিত। এই সপ্তাহে বাংলাদেশের সৃজনশীল পেশাদারদের দ্বারা নির্মিত তিনটি মৌলিক শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির একটি সফল কর্মসূচি শেষ হয়েছে।
গেল ২৮ নভেম্বর রাজধানীর মহাখালিতে অবস্থিত এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শনীটি আয়োজিত হয়। সেখানে পোস্টপ্রো ট্যালেন্টল্যাবের এডুকেশন স্পেশালিস্ট জয়া চৌধুরীস বাংলাদেশ, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্ধ এবং নির্মাতা-শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীর শুরুতে পোস্টপ্রো ট্যালেন্টল্যাবের নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। সেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বাংলাদেশ ও এ দেশের তরুণদের সৃজনশীলতার সুযোগ ও সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরা হয়।
জানানো হয়, পোস্টপ্রো ট্যালেন্টল্যাবের ছয় মাসব্যাপী এক প্রোগ্রামে ২৪ জন ফেলো পোস্ট-প্রোডাকশনের উন্নত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। যা চলচ্চিত্র নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ- এডিটিং, সাউন্ড ডিজাইন এবং কালার গ্রেডিং বিষয়ে শিক্ষা দেয়। এই উদ্যোগের লক্ষ্য বাংলাদেশকে সৃজনশীল অর্থনীতিতে একটি বৈশ্বিক প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখা।
এই প্রদর্শনীটি পোস্টপ্রো ট্যালেন্টল্যাব শো কেইস সপ্তাহ (২৬-২৮ নভেম্বর) এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাংলাদেশের পাশাপাশি কোরিয়া, ফিলিপাইন এবং সিঙ্গাপুর থেকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হন এবং বাংলাদেশে পোস্ট-প্রোডাকশন সেক্টরের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রদর্শনীর পাশাপাশি সপ্তাহটি ছিল প্যানেল আলোচনা, রাউন্ডটেবিল বৈঠক এবং ফিল্ম, ডিজিটাল কনটেন্ট, এবং গেমিং খাতে নতুন প্রবণতা নিয়ে অন্তর্দৃষ্টি প্রদানকারী সেশনের একটি মঞ্চ।
বিশ্বমানের পরামর্শদাতাদের দ্বারা গাইডলাইন পেয়ে ফেলোরা কাটিং-এজ টেকনিক শেখেন। তারা তিনটি মৌলিক শর্টফিল্ম তৈরি করেন। যার একটি ‘দ্য গ্রেট এসকেপ’ বা ‘যাত্রাবিরতি’। গোলাম মুন্তাকিম পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে দুই ভাইবোনের হৃদয়স্পর্শী গল্প উঠে এসেছে।
‘এ ফ্লাওয়ার ইন দ্য ডেজার্ট’ বা ‘ফনীমনসা’ নামের দ্বিতীয় শর্টফিল্মটিতে সাতক্ষীরার এক তরুণী সাদিয়ার অনুপ্রেরণামূলক গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সে সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলে। এটি পরিচালনা করেছেন অভিজিৎ সরকার অর্ক।
আরেকটি শর্টফিল্ম হলো শিহাম শামস পরিচালিত ‘ক্যান ইউ হিয়ার মি?’ বা ‘শব্দের ওপারে’। দুই ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্বের গল্প বলা হয়েছে এতে। যেখানে একজন বধির এবং অন্যজন মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। তারা একে অপরের নীরবতায় শান্তি খুঁজে পায়।
এই ইভেন্টের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ‘ক্রিয়েটিভ এক্সচেঞ্জ কার্নিভাল’। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপাইন থেকে আগত বক্তারা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থান, ডিজিটাল বিপর্যয় এবং বিশেষায়িত চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
এলএ/এএসএম